• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মায় ৩ লঞ্চ ডুবি: একজনের লাশ উদ্ধার


শরীয়তপুর প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭, ০৭:০৫ পিএম
পদ্মায় ৩ লঞ্চ ডুবি: একজনের লাশ উদ্ধার

শরীয়তপুর: জেলার নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটে পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ ৩টি উদ্ধারের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউিটিএ। নিখোঁজ যাত্রীদের খুঁজে পেতে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে নৌবাহীনি, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্ন হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া ও স্রোতের কারণে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।

এদিকে সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মা থেকে সজল পাল (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। লাশটি সুরেশ্বর মাছ ঘাটে রাখা হয়েছে। পকেটে থাকা মুঠোফোনের নম্বর দেখে ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নৌপুলিশ। সজল খুলনার রুপসা থানার পিটাভোগ পালপাড়া এলাকার শ্রীকান্ত পালের ছেলে।

নৌপুলিশের সুরেশ্বর ফাড়ির উপ পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নড়িয়ার সুরেশ্বার এলাকার পদ্মা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে ফাঁড়িতে খবর দেয় স্থানীয় জেলেরা। পরে লাশটি উদ্ধার করে তীরে এনে তার পকেটে থাকা মুঠোফোনের নম্বর দেখে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা জানান, লাশটি সজল পাল নামে এক যুবকের।

সজল পালের ভগ্নিপতি খুলনার সোনাডাঙা মডেল থানার উপ পরিদর্শক দীপক পাল মুঠোফোনে জানান, বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে সজল গত ৮ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়েছে। তার মুঠোফেনোর অস্তিত্ব মুন্সিগঞ্জের লৌহজং’র একটি টাওয়ার পাওয়া যায়। ৯ সেপ্টেম্বর লৌহজং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। নড়িয়া থানা পুলিশের পাঠানো ছবি দেখে তার চেহারা বোঝা যাচ্ছেনা। পোষাক ও সঙ্গে থাকা ফোনের সিম কার্ড দেখে আমাদের ধারণা ওই মরদেহ সজলের হবে।

সোমাবর (১১ সেপ্টেম্বর) পদ্মার ভাঙনের কারণে নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটের পল্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তীব্র স্রোতে পল্টুনে নোঙর করা তিনটি লঞ্চ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া মৌচাক লঞ্চটি ওই ঘাট হতে ঢাকায়, নড়িয়া-২ ও মহানগরি লঞ্চটি নারায়নগঞ্জে চলাচল করত। লঞ্চে থাকা তিন যাত্রী ও ১৩ জন কর্মী এখনো নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হওয়া সজল পালের নাম নিখোঁজের তালিকায় ছিল না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ’র (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান  বলেন, লঞ্চ তিনটি ও নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের উদ্ধারযান প্রত্যয় সোমাবর (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভেদরগঞ্জ উপজেলার দুলারচর এলাকায় অবস্থান করছে। স্রোতের কারণে অভিযান চালাতে পারেনি।

মঙ্গলবার সকালে নৌবাহীনি, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। একটি লঞ্চ দুলারচর এলাকায় শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু স্রোতের কারণে ডুবরিরা ওই লঞ্চের সঙ্গে কোনো রশি বাঁধতে পারছেনা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!