• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে কোপালো স্বামী!


গাজীপুর প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭, ০৬:৫৬ পিএম
পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে কোপালো স্বামী!

গাজীপুর: জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় সোমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সজীবের বিরুদ্ধে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটলেও পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালানো হলেও তা সম্ভব হয়নি। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ তার স্বামী, ভাসুর এবং তাদের সহযোগীদের অভিযুক্ত করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

আহত গৃহবধূ সোমা আক্তার জানান, তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ১০ মাস ধরে তার স্বামী টঙ্গীর এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে কিছুদিন আগে আয়োজনও করা হয়েছিল। এসব কাজে বাধা দেয়ায় তার স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর আগে একাধিকবার নির্যাতন করায় তার মা রানী বেগম শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাপাসিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তিনি আরো জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে তার সঙ্গে জ্যাঠাতো ভাসুর মো. জহিরুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্বামীর সমর্থনে ভাসুর তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তার ভাসুর, ভাই দুললাসহ লোকজন নিয়ে তাকে মাথায় কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।

সোমার মা রানী বেগম জানান, মেয়ে আহত হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিবেশিদের সহায়তায় তার মেয়েকে তিনি উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কোপানো ও বেধড়ক পেটানোয় তার মেয়ের মাথায় একাধিক সেলাই করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তিনি তার মেয়ের স্বামী, ভাসুর এবং তাদের সহযোগীদের অভিযুক্ত করে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর অভিযুক্তরা তাদের হুমকি দিলে ভয়ে মেয়েকে গাজীপুরের বাইরে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।

অভিযুক্ত ভাসুর মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তাদের একান্ত পারিবারিক বিষয়। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

এ ব্যাপারে তরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোবারক হোসেন লালন বলেন, পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। জহিরুল ইসলাম এ ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, একজন কর্মকর্তা দিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহত গৃহবধূকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি একান্তই পারিবারিক হওয়ায় অভিযুক্তরা আপসরফার জন্য সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলেন।

কিন্তু আপসরফার কোনো তথ্য না পেয়ে ওই দিন বিকেলেই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!