• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের সঙ্গেই কাটবে রুনা লায়লার জন্মদিন


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ১৭, ২০১৭, ০৯:২৩ এএম
পরিবারের সঙ্গেই কাটবে রুনা লায়লার জন্মদিন

ঢাকা: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। উপমহাদেশের সংগীতাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার সুললিত  কণ্ঠের গান বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। কোটি কোটি মানুষের প্রিয় এই তারকার জন্মদিন শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর)।

এমদাদ আলী ও আমিনা লায়লা দম্পতির আদরের কন্যা রুনা লায়লার ছোটবেলার প্রতিটি জন্মদিনই ছিল স্মরণীয়। সে সময় মা ও বড় বোন দীনা লায়লার সেলাই করা নতুন জামা পরেই জন্মদিন কাটতো বিশ্বনন্দিত এ তারকার।

তাই এখন জন্মদিন এলেই এ সংগীত তারকা ছোটবেলার সেসব ফেলে আসা দিন খুব মিস করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ছোটবেলার সব জন্মদিন ছিল স্মরণীয়। আমার জন্মদিনে বাড়িতে বন্ধুবান্ধব আসতো, কেক কাটা হতো- সবমিলিয়ে খুব আনন্দ হতো। এখন তো আর তা করা হয় না। তবে মহান আল্লাহ্‌র কাছে অনেক শুকরিয়া যে সুস্থ আছি, ভালো আছি, এখনো ভালোভাবে গান গাইতে পারছি। 

এখন জন্মদিনে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই নিজের মতো উদযাপন করি। বাইরে কোথাও সাধারণত যাই না। তবে আমার জন্মদিন এলেই মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। কারণ, আমার মার জন্মদিন ১লা ডিসেম্বর। রুনা লায়লা তার আজকের অবস্থানের পেছনে বড় ভূমিকা হিসেবে তার মা, পাশাপাশি বাবা এবং বোন দীনা লায়লার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। 

ভক্তদের ভূমিকার কথাও উল্লেখযোগ্য বলে অভিমত তার। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্রে গান গেয়ে রুনা লায়লা এখন পর্যন্ত ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। দেবু ভট্টাচার্যের সুরে করাচি রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’, ‘আমি নদীর মতো কত পথ পেরিয়ে’ শীর্ষক গান তার কণ্ঠে শোনা যায়।

তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’তে সুবল দাসের সুর-সংগীতে। এর রেকর্ডিং হয়েছিল লাহোরে। তখন তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। গানটি হচ্ছে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’। দেশে আসার পর ১৯৭৬ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে।

এর সুর-সংগীত করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ১৮টি ভাষায় গান গাইতে পারেন রুনা লায়লা যা বিশ্ব সংগীত ভুবনে সত্যিই বিরল। আজকের জন্মদিনটি কিভাবে কাটাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কাটবে আজকের দিনটি।

তিনি আরো বলেন, সবার কাছে দোয়া চাই যেন যতদিন বাঁচি ততদিন ভালো ভালো গান শ্রোতা-দর্শককে উপহার দিতে পারি। বাংলাদেশের নাম বিশ্বের কাছে যেন আরো উজ্জ্বল করতে পারি।
কিংবদন্তি এই শিল্পীর জন্মদিনে সোনালীনিউজ ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!