• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পলাতক ও জামিনে মুক্ত জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১০, ২০১৬, ১২:৪৮ পিএম
পলাতক ও জামিনে মুক্ত জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার

সোনালীনিউজ রিপোর্ট

পলাতক ও জামিনে মুক্ত জঙ্গিরা সংগঠন নানামুখী নাশকতায় তৎপরতা চালাচ্ছে। বিশেষ করে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা এখনো তৎপর রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জামিনে মুক্ত ও পলাতক জঙ্গিদের নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর আবারো জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

কারণ প্রতিবছরই ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা হয় ধরা পড়ছে, নয়তো গ্রেনেড-বোমা বিস্ফোরণে মারা যাচ্ছে। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার সাড়ে ১০ বছর পরও ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা নাম পরিচয় গোপন ও স্থান বদল করে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা ১৬১ মামলায় ৬৬০ জনকে আসামি করা হয়। তার মধ্যে ধরা পড়েছে ৪৫৫ জন, জামিনে আছে ৩৫ জন এবং ৫০ জন এখনো পলাতক। পলাতক ও জামিনে মুক্ত হয়ে যারা জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে তাদের মধ্যে সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুরে বোমা তৈরির সময়ে বিস্ফোরণে নিহত তরিকুল ছিল অন্যতম। তার সঙ্গে নিহত অপর জঙ্গির পরিচয় না পাওয়া গেলেও সেও যে জেএমবির জঙ্গি গোয়েন্দাদের তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

নিহত তরিকুল পাবনার সিরিজ বোমা হামলার মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে ৩ বছরেরও বেশি সময় কারারুদ্ধ থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে মারা গেছে। তার বাড়ি পাবনায় হলেও সে বগুড়ায় গিয়ে বোমা তৈরি করার সময়ে বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, এক জেলার জেএমবির জঙ্গিরা অন্য জেলায় গিয়ে নাম পরিচয় গোপন করে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে। বিশেষ করে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার আসামি জেএমবির জঙ্গিদের তৎপরতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, বিগত ২০০৫ সালে দেশের ৬৩টি জেলার সাড়ে ৪শ’ স্থানে ৫ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। উগ্রপন্থী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে যুদ্ধ ঘোষণা করে সেদিন জঙ্গি সংগঠনটি আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় একযোগে হামলা চালায়। তাতে ৩৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। ওই ঘটনার পর সাড়ে ১০ বছর কেটে গেলেও এখনো অর্ধশতাধিক মামলার বিচার অনুষ্ঠিত হয়নি। বরং পলাতক ও জামিনে মুক্ত হয়ে অনেক জঙ্গিই পুনরায় নিষিদ্ধ ওই সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ, ছদ্মবেশে চালাচ্ছে দাওয়াতি কার্যক্রম ও নাশকতার কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সিরিজ বোমা হামলার আসামিদের ধরতে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান সাড়ে ১০ বছর পর এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বিগত সাড়ে ১০ বছরে সিরিজ বোমা হামলার ১০৩ মামলার ঘোষিত রায়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে ২৬৪ জনকে। মৃত্যুদন্ড দেয়া ১৫ জনের রায়ের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬ জনের রায় কার্যকর করা হয়েছে। যার মধ্যে জঙ্গি সংগঠনটির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, খালেদ সাইফুল্লাহ, আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হাসান আল মামুন রয়েছে। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে আদালত ওই হামলা সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম শেষ করতে পারছে না।

এমনকি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেও সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা থেকে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আমিরসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!