পল্লী উন্নয়নসহ একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা: গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ নয় প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। হবে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৮৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সাত হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি নয় লাখ টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা জোগান দেয়া।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত একনেকের বৈঠক হয়েছিল ১৭টি। এতে ১২৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল এক লাখ ২৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ১৬টি একনেক সভায় ১৩১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পর যে বালু তোলা হয়, তা দিয়ে ইটের বিকল্প তৈরি করতে হবে অথবা ‘হলো ব্লকস’ তৈরি করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগির এ কাজ শুরু হবে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

এদিকে একনেক বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-এক হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প, ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী-খাল পুনঃখনন ও মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়ানো (২য় পর্যায়) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ ও উপকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নবসংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি দুই লাখ টাকা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম