• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিম পাকিস্তানিদের যত আক্রোশ ছিল বাংলা ভাষার ওপর


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭, ১২:৫৯ পিএম
পশ্চিম পাকিস্তানিদের যত আক্রোশ ছিল বাংলা ভাষার ওপর

ঢাকা : ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির আজ পঞ্চম দিন। এই মাসে রাজধানী ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল আমার ভাইয়ের রক্তে। পশ্চিম পাকিস্তানিদের যত আক্রোশ ছিল বাংলা ভাষার ওপর। তারা বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এ লক্ষ্যে শুরু করে দমন-পীড়ন-নির্যাতন। গ্রেফতার করা হয় সেদিনের সাহসী যুবনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে। কিন্তু বাঙালি দমার পাত্র নয়। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল না, কিন্তু মনের জোর এবং মাতৃভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল। 

বাঙালি ‘মা’ আর মাতৃভাষার মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না, এই প্রশ্নে তারা আপসকামীও নয়। মুখের ভাষার ওপর আঘাত আসায় তারা উত্তাল সমুদ্রের ন্যায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এতেই এলোমেলো হতে থাকে বর্বর পশ্চিম পাকিস্তানিদের সব স্বপ্ন। ফলে পরবর্তী প্রাদেশিক নির্বাচনে তাদের সমর্থক বঙ্গীয় মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটে। 

এরপর পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়। পশ্চিম পাকিস্তানিরা কিছুদিনের জন্য পিছু হটে। এরপর নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। খুব বেশি দিন বাঙালিকে তারা সুখে থাকতে দেয়নি। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে রাজনীতিবিদদের কারাগারে নিক্ষেপ করে। শুরু হয় বাঙালির নতুন করে বাঁচার লড়াই। এই লড়াই চূড়ান্ত রূপ নেয় একাত্তরে। প্রায় এক লাখ সৈন্যসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় দুনিয়ার ‘সেরা সৈনিকের দল’ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। 

সব কৃতিত্ব বাঙালির, মুক্তিযোদ্ধাদের। সাতচল্লিশে ভুল করে হানাদারদের ফাঁদে পা দিয়েছিল পূর্ববঙ্গের মানুষ। দীর্ঘ পঁচিশ বছর তাদের শাসন-শোষণে থেকে তার মাসুল দিতে হয়েছে। কিন্তু বাঙালি তাদের উচিত শিক্ষা দিতেও কসুর করেনি।

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!