• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পহেলা বৈশাখে বাহারি সাজ


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৬, ২০১৬, ১২:৪৭ পিএম
পহেলা বৈশাখে বাহারি সাজ

সোনালীনিউজ ডেস্ক

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পহেলা বৈশাখ। তারপরেই পুর বাংলা সাজবে বর্ণিল সাজে। বিশ্বকপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি ছাড়া যেমন পহেলা বৈশাখ পূর্ণতা পায় না, তেমনি লাল-সাদা পোশাক ছাড়াও অপূর্ণ থেকে যায় নববর্ষের উৎসব। সেইসঙ্গে পান্তা-ইলিশ তো আছেই। পহেলা বৈশাখে মজার সব খাবার আর সাজ-পোশাকে ঘটে বাঙ্গালিদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। তাই নতুন বছরকে ঘিরে তাদের থাকে হাজারো পরিকল্পনা,  থাকে নানা বর্ণিল আয়োজন।

বর্ষবরণে কে কেমন পোশাক পরবে, কেমন ডিজাইনের হবে, কাকে কোনটা মানাবে এই সবে ব্যস্ত থাকে বাঙালি নারীরা। তাইতো সাজে পোশাকে ভিন্নতা আনতেও তাদের থাকে অফুরন্ত প্রচেষ্টা। এক্ষেত্রে বয়স, পরিবেশ আর অভ্যাসের সঙ্গে মিল রেখে বেছে নিতে পারেন বছরের নতুন পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজ।

পোশাক : পহেলা বৈশাখ উৎসবটি একেবারে দেশিয় সংস্কৃতির তাই বাঙ্গালী নারীদের প্রথম পছন্দের শাড়ি হলো সুতির শাড়ি। অনেকে জামদানি বা সিল্ক শাড়ি পরতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজে থাকতে পারে গ্রামীণ আবহ। ঘটি হাতা, গলায় কুচি, লেচ ফিতায় ব্লাউজ বা প্রিন্টের যেকোনোটায় মানিয়ে যাবে।

ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবিই বেশি মানানসই। পাঞ্জাবির সঙ্গে চুড়িদার সালোয়ার, ধুতি পাজাম বা প্লেন কাটের পাজামা পড়তে পারেন। কেউ কেউ প্যান্টের সঙ্গেও পরে নেন। পাঞ্জাবির সঙ্গে রঙিন দোপাট্টা কিন্তু খুব মানানসই। বাঙালি আবহ আনতে রঙিন গামছাও শোভা পায় ফ্যাশন সচেতন ছেলেদের গলায়। এই দিনে কেউ চাইলে ফতুয়া বা গেঞ্জিও পরতে পারেন।

বাচ্চা মেয়েদের পরাতে পারেন পাতলা সুতির শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ। ছেলে বাচ্চাদের পাঞ্জাবি বা ফতুয়া।

গয়না : পোশাকের সঙ্গে গয়নার বিষয় আসবেই। কেউ সম্পূর্ণ ফুলেল সাজে সজ্জিত হতে চান, কেউ বেছে নেন মাটির গয়না। কেউ বা পুতি বিডস আর ইমিটেশন বেছে নেন। বাঙালী নারী অলঙ্করণে হাত ভর্তি কাচের চুড়ির জুড়ি নেই। আলতা রাঙা পাও বৈশাখী সাজে অপরিহার্য ধরা চলে। তবে দিনভর ঘোরাঘুরিতে যে সাজ আপনার জন্য স্বস্তিদায়ক সেটাই বেছে নেওয়া উচিত। আজকের তরুণীরা আবার নানা ডিজাইনের লাল-সাদায় টপস বা সালোয়ার কামিজ বেছে নিচ্ছেন। সেখানেও ব্যবহার চলে নানা রকম গয়নার।

মেকআপ : এই গরমে বৈশাখী সাজে মেকআপের জন্য বেছে নিতে পারেন হালকা বেইজের কিছু। তবে তা অবশ্যই স্বাভাবিক মানের হওয়া চাই। প্রায়ই গরম আর রোদের তাপে মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বেছে নিতে পারেন অয়েল ফ্রি বা ওয়াটার প্রুফ মেকআপ।

চোখের সাজ : চোখে লাগাতে পারেন হালকা আই শ্যাডো আর মাশকারা। এক্ষেত্রে কাজল, আই লাইনার বা মাশকারা অবশ্যই ওয়াটার প্রুুফ হতে হবে। যাদের কাজল ছড়িয়ে যায় তারা কাজল দেওয়ার পর তার ওপর একটু পাউডার দিয়ে নেবেন। তাতে আর কাজল ছড়ানোর ভয় থাকবে না।

ঠোঁটের সাজ : ঠোঁটে দিতে পারেন লাল কিংবা অন্য হালকা রঙের লিপস্টিক। তবে রঙটা যেন অবশ্যই আপনার পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

টিপ : বৈশাখে লাল টিপটাই মানায় বেশি। আবার শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টিপ পরতে পারেন। তবে যে কোনো রঙের শাড়ির সঙ্গেই কিন্তু লাল টিপ মানিয়ে যায়।

চুলের সাজ : বৈশাখের সাজে বড় চুলে করতে পারেন খোঁপা বা বেণী। শাড়ি বা সালওয়ার কামিজ যাই পরুন না কেন, চুলে খোঁপা বা বেণী দুটোই ভালো মানায়। এক্ষেত্রে হাত খোঁপা করে চুলের দুই পাশে বা পুরোটা জুড়ে গেঁথে নিতে পারেন দেশি ফুলের মালা। আর মাঝারি বা ছোট হলে চুল হলে এখনই দিয়ে ফেলুন মানানসই কোনো হেয়ার কাট। উৎসবের দিন সেটাকে আয়রন করে একপাশে রেখে দিতে পারেন বা ছোট্ট কোনো ব্যান্ড দিয়ে হাল্কা হাতে একটু অগোছালো করে আঁটকে নিতে পারেন। তবে তাতেও ফুল তো থাকবেই।

ব্যাগ ও জুতা : শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্যাগ নির্বাচন করুন। কালো আর লাল কালার ব্যাগ মানিয়ে যায় সব রঙের শাড়ির সঙ্গে। মাঝারি সাইজের ব্যাগ ব্যবহার করুন। গরমকালের জন্য টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে রাখবেন; ছোটপানির বোতল, হাল্কা মেকআপ, রুমাল এইসব। তবে ব্যাগ যেন বেশি ভারি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অনেকেই হিল পরে হাঁটতে পারেন না, আর এই উৎসবে তাদের স্লিপার পরাই ভালো।

সারা বছরে এই পয়লা বৈশাখ একবারই পাওয়া যায়, এজন্য এর পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। তাই দু’দিন আগে থেকেই গুছিয়ে রাখুন আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু, নিজস্ব স্টাইলে সাজুন আর আরামদায়কভাবে উৎসবটি উপভোগ করুন।

সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!