• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাওয়া গিয়েছে বিমানটির ব্ল্যাক বক্স


নিউজ ডেস্ক মার্চ ১২, ২০১৮, ০৮:১৩ পিএম
পাওয়া গিয়েছে বিমানটির ব্ল্যাক বক্স

ঢাকা: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ব্ল্যাকবক্স পাওয়া গিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার পরে এই বক্স পেতে অনেক সময় পেরিয়ে যায়। কিন্তু এবার দ্রুত পাওয়া গিয়েছে।

সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রু ও ৬৭ আরোহীবাহী বাংলাদেশি বেসরকারি এ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

ব্ল্যাক বক্সে বিমানের ভেতরে থাকা পাইলট ও কন্ট্রোল টওয়ারের মধ্যে যোগাযোগকৃত সকল তথ্য সংরক্ষণ থাকে। এছাড়াও পাইলের সর্বশেষ কথা-বার্তাও রেকর্ড হয়। বিমান বিধ্বস্ত বা কোনো কারণে দুর্ঘটনার শিকার হলে এই তথ্য তদন্ত কমিটিকে রহস্য উদঘাটনে সহায়তা করে।

বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রী বলেন, বিমানটির ৫০ আরোহী মারা গেছেন। তবে এ মুহূর্তে হতাহতের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে যাত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের দুই নারী কর্মকর্তা ছিলেন। তারা হলেন সিনিয়র সহকারী প্রধান নাজিয়া আফরিন চৌধুরী ও উম্মে সালমা।

সরকারি এক সেমিনারে অংশ নিতে তারা নেপাল যাচ্ছিলেন। তাদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।

অপরদিকে বিধ্বস্ত বিমানটিতে যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশি একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৪জনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে থাকা ৭১ জন যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে এ তথ্য। বিমানে আগুন ধরার পরে প্রাথমিকভাবেই ২৫জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তি করার সময়েই ৮জন নিহত হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের বেসরকারি মালিকানাধীন উড়োজাহাজ কোম্পানি ইউএস-বাংলার একটি যাত্রীবাহী বিমান নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিমান বন্দরে অবতরণের সময়ে বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধার কাজে নেপালের সেনাবাহিনী ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, ইউ-এস বাংলার একটি উড়োজাহাজ টারবো-৮ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবিস্থত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্রিভূবনে নামার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে। কাঠমান্ডুর স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে এঘটনা ঘটে।

সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার সময়ে ঢাকা থেকে বিমানটি ৭১ জন যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়ে। বিমানের ক্র-সহ ৩৭ জন পুরুষ ও ২৭জন মহিলা ২ শিশু ছিলেন। নেপালের পত্রিকা কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, মোট যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জন নেপালী ছিলেন।

বিমানটির আসন ক্ষমতা ছিল ৭৮ জন।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!