• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে কড়া জবাবের হুমকি ভারতের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬, ০৯:৫৪ এএম
পাকিস্তানকে কড়া জবাবের হুমকি ভারতের

কাশ্মীরের বিরোধপূর্ণ সীমানায় ভারতের সেনা ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটি। ঘটনার পাল্টা পাকিস্তানকে ‘কড়া জবাব’ দেয়ার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে।

ভারতের লেফটেন্যান্ট রণবীর সিং নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, রবিবারের হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের ছাপ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলোতে ইঙ্গিত মিলেছে, হামলাকারীরা বিদেশি এবং তাদের অস্ত্র ও সজ্জায় পাকিস্তানের চিহ্ন রয়েছে। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকেরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে।।’ তবে এ বিষয়ে তিনি খোলাসা করে কিছু বলেননি।

এর আগে ঘটনাটিকে ‘কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, যারা এই ভয়াবহ হামলায় জড়িত, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।’ ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত প্রায় দুই মাস ধরে সহিংস বিক্ষোভ চলছে, এতে ৮০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।
এক ধাপ এগিয়ে আরেকটু কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক টুইট পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সেভাবেই তাকে চিহ্নিত করে একঘরে করে রাখতে হবে।

তবে ঘটনাটিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া রয়টার্সকে বলেন, হামলার ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের তাৎক্ষণিক অভিযোগ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

কাশ্মীর এলাকায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্যে রবিবারের ভয়াবহ ওই হামলায় ১৭ জন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হন; আহত হন ৩৫ জন। এই হামলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর।

ঘটনার পর শ্রীনগর পরিদর্শন করে এক টুইট পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘১৭ সেনার এই সাহসী আত্মোৎসর্গ বৃথা যাবে না। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। উরি ঘাঁটিতে হামলার পর সেনাপ্রধান ও কমান্ডারদের নিয়ে কাশ্মীরের পরিস্থিতির পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। বৈঠকে যারা হামলার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কমান্ডো সাজে চার অস্ত্রধারী একে-৪৭ রাইফেল ও গ্রেনেড নিয়ে উরির ব্রিগেড সদর দপ্তরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢুকে পড়ে এবং তিন ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধে তারা সবাই নিহত হয়।

এই ঘটনা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত তিক্ত সম্পর্কের দুটি শত্র“ভাবাপন্ন দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরো উসকে দিয়েছে; তৈরি হয়েছে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সামরিকায়িত এই সীমানাজুড়ে অনেক জায়গায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও প্রায়ই ঘটে থাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই


 

Wordbridge School
Link copied!