• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে নামছে বাংলাদেশ ব্যাংক


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৮, ১০:৫৪ পিএম
পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে নামছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থপাচার হয়ে আসছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়ে আসছে। কিন্তু সরকারের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। শুধু একটি মামলায় কিছু অর্থ ফিরিয়ে আনতে পেরেছে সরকার। এবার পাচার হওয়া অর্থের খোঁজ করতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে কয়েকটি সংস্থা। এজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থারও সহযোগিতা নেয়া হবে।

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অর্থপাচার রোধে কাজ করা গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় সংস্থা দুটি অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করবে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি আন্তর্জাতিক একাউন্টিং ফার্মকে নিয়োগ দেয়া হবে। বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের যে অংকের কথা বলা হয়, তা যে সুনির্দিষ্টভাবে অথেনটিক তা বলা যাবে না। পূর্বে যে অর্থপাচার হয়েছে তা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কিছু কাজ করেছে, এখনও করছে। অর্থপাচারের তথ্য সংগ্রহের জন্য এনবিআর থেকে একটি আন্তর্জাতিক একাউন্টিং ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। যাতে তারা বাইরে যদি অর্থপাচার হয়ে থাকে সেসব তথ্য যেন সংগ্রহ করতে পারে।

সমঝোতা স্মারকে এনবিআরের সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) এস এম আশফাক হুসেন এবং বিএফআইইউ উপ-প্রধান মো. মিজানুর রহমান জোদ্দার নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকাতে পুলিশ, দুদক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নিয়ে আমাদের কার্যক্রম জোরদার করেছি। সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। পাচার হওয়া একটি মামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে টাকা ফেরত আনা হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে অর্থপাচারের ঘটনায় দুদকের ৩২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী নাগরিকদের অর্থ জমার যে হিসাব দেওয়া হয়,তার মাত্র ৭ শতাংশ দেশে যারা বসবাস করে তাদের। আমরা দেখেছি-এই অর্থের বড় অংশ বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের।

এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়,২০০৫-১৪ মেয়াদে বাংলাদেশ থেকে ৬১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থপাচার হয়েছে। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে বিএফআইইউ পর্যায়ক্রমে দুদক ও পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।

সোনালীনিউজ/তালেব

Wordbridge School

আরও পড়ুন