• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন: শেষ হাসি কার?


পাবনা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬, ০৬:০৯ পিএম
পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন: শেষ হাসি কার?

পাবনা : জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন পাবনার প্রার্থীসহ উৎসুক মানুষ। শেষ হাসি কে হাসবেন আর কে বসবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে? ক্ষমতাসীন দলের চার প্রার্থীর মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা থাকলেও গত রোববার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছেড়ে দিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এম সাইদুল হক চুন্নু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান আরেক নেতা আওয়ামী লীগের টিকিটে যিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল রহিম লালের সাথে নিজ দলের আরও দু’জন প্রভাবশালী প্রার্থী লড়াই করছেন। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামিল হোসেন আর ভূমিমন্ত্রীর কন্যা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন প্রিয়া।

সাধারণ ভোটারসহ সচেতন মহলের অভিমত, পাবনার ৯ উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলার প্রায় ৩শ’ বিএনপি-জামায়াতের ভোটের উপর শেষ হাসি নির্ভর করছে কে হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। যদিও তিন একই দলের তিন প্রার্থীর মধ্যে শেষ হাসিটা ধরে রাখতে তুমূল লড়াই হবে। তারপরও লড়াইয়ে জেতার পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে বিএনপি জামাত সমর্থিত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে। মূলত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যা পদের ক্ষেত্রে জেলার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, আটঘরিয়া আর সাঁথিয়া উপজেলার প্রায় ৩০০ ভোটই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল রহিম লাল বলছেন, দলের সংকট মুহূর্তে আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দলের জন্যই সারাজীবন কাজ করে চলেছি। দল আমাকেই সমর্থন দিয়েছে। তাই বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

এদিকে স্বতন্ত্র’র ব্যানারে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী খ্যাত জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন মনে করছেন, জেলার আনাচে-কানাচে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দলের জন্য, তথা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মিদের পাশে সব সময় বিপদে আপদে অবস্থান নিয়েছি। প্রতিটি মেম্বার-চেয়ারম্যান আমাকে চেনেন এবং জানেন। সে কারণে তারা আমাকেই ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

অন্যদিকে ভূমিমন্ত্রী কন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী খ্যাত মাহজেবিন শিরিন প্রিয়া বলছেন, দলের জন্য অবদান কম নেই। আর একমাত্র নারী প্রার্থী আমি। সবাই আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন এটা মনে প্রাণে আমি বিশ্বাস করছি। শেষ হাসিটা আমারই হবে বলে দাবি করছেন এই নারী প্রার্থী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!