• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণ


পাবনা প্রতিনিধি মার্চ ১৫, ২০১৮, ০৭:৩৯ পিএম
পাবনায় দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

পাবনা : জেলার ঈশ্বরদীতে দুই স্কুলছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা দুই ছাত্রীর বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে। ধর্ষিতা দুই স্কুলছাত্রী আওতাপাড়া নূরজাহান বালিকা বিদ্যা নিকেতন অ্যান্ড কলেজের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ওই দুই ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। এ সময় ধর্ষিতা ছাত্রীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, পার্শ্ববর্তী বাঁশেরবাদা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই দিনব্যাপী শতবর্ষ উৎসব শেষে বাড়ি ফেরার সময় পূর্ব পরিচিত রমজান ও রনি বেড়ানোর কথা বলে তাদের তুলে নিয়ে রাতভর একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতারা আরো জানায়, রোববার শতবর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য তাদের স্কুলের সকল ছাত্রী বাঁশেরবাদা উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে বিরতির সময় এই দুই ছাত্রী রমজান ও রনির সঙ্গে অটোতে করে বেড়াতে বের হয়। অটো বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে-ফিরে সন্ধ্যার দিকে গড়গড়ি গ্রামের একটি ফাঁকা বাড়িতে ওদের নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সারারাত আটকে রেখে দুই ধর্ষক ওই ছাত্রীদের ধর্ষণ করে।

সোমবার ভোরের দিকে এই কথা কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে রমজান ও রনি ধর্ষিতাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় তারা অনেক পথ পায়ে হেঁটে সকাল ৮টার দিকে বাড়ি পৌঁছায়। পরিবারের লোকজন সারারাত এদের খোঁজ করেও না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরিবারের পক্ষ হতে সারারাত কোথায় ছিল জানতে চাইলে ধর্ষিতা ছাত্রীরা পরিবারকে এ ঘটনা জানায়।

পরে উভয় পরিবারের পক্ষ হতে এলাকার সাহাপুর ইউপি’র মেম্বার শামসুল প্রামাণিককে বিষয়টি জানানো হলে মেম্বার ধর্ষিতা ও পরিবারের লোকজনদের নিয়ে অভিযোগ দেয়ার জন্য পুলিশের ঈশ্বরদী সার্কেলের অফিসে নিয়ে যায়। এ সময় মেম্বার শামসুল ও এলাকার লোকজন জানান, ধর্ষকদের বাড়ি গড়গড়ি গ্রামে। রমজানের বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম মনা এবং রনির বাবার নাম মনিরুল ইসলাম। সিরাজুল ইসলাম মনা আওতাপাড়া হাটে ইজারাদারের খাজনা তোলার কাজ করে।

এলাকাবাসীরা জানান, উভয় ধর্ষিতার বাবা অত্যন্ত দরিদ্র। এদের মধ্যে একজনের বাবা মোস্তাক প্রামাণিক পেশায় অটো ভ্যানচালক এবং অপরজন আবলু প্রামাণিক পেশায় দিনমজুর।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক জানান, শুনেছি প্রেমঘটিত কারণে বেড়াতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিষয়টা নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তাছাড়া পুলিশ আসামি ধরার জন্য তৎপর রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!