• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ত্রিদেশীয় সিরিজ

পারলো না মাশরাফির বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক মে ১৭, ২০১৭, ১১:৫৮ পিএম
পারলো না মাশরাফির বাংলাদেশ

ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের সামনে পেরে উঠলো না বাংলাদেশ।বিদেশীর মাটিতে আরেকটি হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচটি বৃষ্টি ভেসে নিয়ে গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারই দেখতে হলো।

রান তাড়া করতে নেমে দারুন শুরু করা নিউজিল্যান্ড ৮০ রানে গিয়ে দুই উইকেট হারিয়ে বসে। সাব্বিরের দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে রানআউট হয়ে বিদায় নেন জর্জ ওর্কার। এরপর  ভয়ঙ্কর ল্যাথামকে শিকার করলেন রুবেল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি নিউজিল্যান্ডের। রনকি-লাথামের ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৯ রান। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আঘাত হানেন নিউজিল্যান্ড শিবিরে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে রনকিকে সাঝঘরে পাঠান ফিজ। তবে জর্জ  ওয়াকার টম ল্যাথাম আরো একটি জুটি গড়েন। দলীয় ৮০ রানের মাথায় ওয়াকার রানআউট হয়ে ফিরলে খানিকটা চাপমুক্ত হয় বাংলাদেশ।

দুই উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশ শিবিরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল টম লাথাম। তবে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে তাকে শিকার করেন পেসার রুবেল হোসেন। তার বলে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ৬৪ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৫৪ রান করেন ল্যাথাম। ৩১তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। এবার রস টেলরকে দ্বিতীয় শিকার বানান ফিজ। পরে নিল ব্রুম আর জিমি নিশামের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে নোঙ করে নিউজিল্যান্ড। মোস্তাফিজ ৩৩ ও রুবেল ৫৩ রানে দুটি করে উইকেট তুলে নেন। একটি উইকেট পান মাশরাফি ৫৮ রানে।

বুধবার (১৭ মে) আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ক্লনটার্ফ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

তিন জাতির এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ গুরুত্বপুর্ণ। সেই লক্ষ্যেই শুরু ধেকেই সতর্ক ভাবে ব্যাটিং শুরু করে টাইগারদের দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্য। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৭ রান তোলেন তারা। দলীয় ৭২ রানে ছন্দ পতন ঘটে বাংলাদেশের। ২৩ রান করে জিমি নিশামের বলে মুনরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাঝঘরে ফেরেন তামিম। যদিও নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ের বিপরীতে ঠাণ্ডা মাথার উইকেটের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এই ওপেনার।

তামিমের বিদায়ের পর তিন নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে সমর্থকদের হতাশ করেছেন সাব্বির। এদিন মাত্র ১ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। এক ওভারে তামিম ও সাব্বির রহমানের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশের। সেখান থেকে বাংলাদেশকে তেনে তোলেন সৌম্য ও মুশফিক। এরপর হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সৌম্য সরকার। ১৬তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু এই হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করার আগেই সাঝঘরে ফেরেন এই ওপেনার। দলীয় ১১৭ রানে ইশ সোধির বলে নাথামের তালুবন্দি হয়ে ফিরে যান তিনি। তার আগে ৫টি চারের মাড়ে ৬৭ বলে ৬১ রান করেন সৌম্য।

সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ইশ সোদির করা ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে মিড-অফে জিমি নিশামের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ফলে ১৩২ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তায় চাপ কাটিয়ে ওঠে টাইগাররা। মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ১৮১ রানে নেশামের বলে আউট হয়ে বিদায় নেন মুশি।

মুশফিকের বিদায়ের পর মোসাদ্দেকের সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি তলে নেন ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি। তবে সৌম, মুশফিকের মত তিনিও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেন নি। ৫১ রানেই সাঝঘরে ফিরেছেন বেনেটের শিকার হয়ে। এরপর হাফ সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু ৪০ রানেই তাকে থামিয়ে দেন বেনেট। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে হামিশ বেনেট সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন। জেমস নিশাম ও ইশ সোধি ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!