• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বতীপুরে টিসিবির পন্য বিক্রি করছে না ডিলাররা


পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জুন ৮, ২০১৭, ০২:৪৪ পিএম
পার্বতীপুরে টিসিবির পন্য বিক্রি করছে না ডিলাররা

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): মাহে রমজানকে সামনে রেখে সরকার সারাদেশে টিসিবি’র (ট্রেডি কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য বিক্রি শুরু করলেও দিনাজপুরের পার্বতীপুরে টিসিবি’র কোন ডিলাররা টিসিবি’র পণ্য উত্তোলন করেনি। এর ফলে সল্পমূল্যের পণ্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

এদিকে পার্বতীপুরে টিসিবি’র পণ্য বাজানে না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষকে বাজার থেকে বেশি মূল্যে তেল, চিনি, ডাল, ছোলা ও খেজুর কিনতে হচ্ছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি টিসিবি সারাদেশে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি, ৮৫ টাকা দরে প্রতি লিটার সোয়াবিন, ৭০ টাকা দরে প্রতি কেজি ছোলা, ৮০ টাকায় প্রতি কেজি মসুর ডাল ও ১২০ টাকায় প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি করার কথা। এর ফলে একজন ভোক্তা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৩ কেজি মসুর ডাল, ৫ লিটার সোয়াবিন তেল, ৫ কেজি ছোলা ও ১ কেজি ছোলা কিনতে পারবেন।

পার্বতীপুরে টিসিবি’র ৫জন ডিলার রয়েছেন। তারা হলেন- উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট বৃত্তিপাড়ার রায়হান স্টোর এর স্বত্বাধীকারী মোফাজ্জাল হোসেন, শহরের নতুন বাজারের মের্সাস লতা স্টোর এর স্বত্বাধীকারী মোফাজ্জাল হোসেন সাদ্দাম ও মের্সাস ফেয়ার কনষ্ট্রাকশনের স্বত্বাধীকারী গোলাম ফারুক অভি, পুরাতন বাজারের মেসার্স রেজাউল করিম এর স্বত্বাধীকারী রেজাউল করিম ও ভবানীপুর বাজারের রাকিব স্টোরের মালিক সামসুজোহা শেখ প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি থেকে উপজেলা ভিত্তিক ৩শ’ লিটার সোয়াবিন, ৫শ’ কেজি চিনি, ৪শ’ কেজি মসুর ডাল ও ৬শ’ কেজি ছোলা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সাধারণ মানুষকে বাজার থেকে ৭০ টাকা কেজি চিনি, ১০৫ টাকা লিটার সোয়াবিন, ৮৫ টাকা কেজি ছোলা, ১২০ টাকা কেজি মসুর ডাল এবং ৮০ টাকা কেজি দরে খেশারি ডাল কিনতে হচ্ছে।

টিসিবি ডিলার মের্সাস লতা স্টোরের মোফাজ্জাল হোসেন সাদ্দাম জানান, তিনি গত ২২ মে প্রথম কিস্তিতে ২শ’ লিটার সোয়াবিন তেল, ৩শ’ কেজি চিনি, ৩শ’ কেজি মসুর ডাল, ৩শ’ ছোলা টিসিবির রংপুর আঞ্চলিক অফিস থেকে উত্তোলন করেন। কিন্তু কোন খেজুর পাওয়া যায়নি। তবে এসব পণ্য উত্তোলনের দু’দিনের মাথায় শেষ হয়ে যায়।

তিনি অভিযোগ করেন, বাজারে মসুর ডালের পাইকারী বাজার দর প্রতি কেজি ৬৫ টাকা হলেও টিসিবির মসুর ডাল ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এতে প্রথম কিস্তিতে তার ১৩ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। বর্তমানে টিসিবি কোন পন্যই সরবরাহ দিতে পারছেন না বলে তিনি দাবি করেন।

টিসিবি’র আরেক ডিলার সামসুজোহা শেখ জানান- বাজার মুল্যের সাথে টিসিবির পণ্যের দামের পার্থক্য খুবই সামান্য। তাছাড়া পরিবহন খরচ দিয়ে এতে কোন লাভ না থাকায় তিনি এখন পর্যন্ত কোন টিসিবি পন্য তুলেননি। এতে তার ডিলারশীপ বাতিল হলেও কোন আপত্তি করবো না।

পার্বতীপুরে টিসিবি’র পণ্য উত্তোলন ও বিক্রি কার্যক্রম না থাকা প্রসঙ্গে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, কতজন ডিলার রয়েছেন, তারা কখন টিসিবির পন্য উত্তোলন করছেন। তা জানা না থাকায় এব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারছি না।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!