• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ি ঢলে সাপ, আশুগঞ্জে আতঙ্ক


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৩, ২০১৬, ০৭:২৬ পিএম
পাহাড়ি ঢলে সাপ, আশুগঞ্জে আতঙ্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন গ্রামে বিরাজ করছে সাপ আতঙ্ক। প্রতিনিয়িত বিভিন্ন জায়গায় বিষধর সাপ দেখে সাধারন মানুষের মনে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। সাপের ভয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে এলাকাবাসীর। এছাড়া সাপের দংশনে ইতোমধ্যে মামুন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গত ৬ মাসে অর্ধশতাধিক সাপ মেরেছে এলাকাবাসী এবং সাপুড়ের হাতে ধরা পড়েছে ২৪টি বিষধর গোখরা সাপ।

উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশের সিড়ির নীচ থেকে একটি ও আড়াইসিধা গ্রামের একটি বসত বাড়ি থেকে  ৫টি বিষধর গোখরা সাপ ধরে সাপুড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামের পশ্চিম আলগা বাড়ির আব্দুন নূর এর ছেলে মো. মামুন সাপের দংশনে মারা যায়। এদিকে কয়েক মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিষধর গোখরা সাপের দেখা মিলছে। আর এই সাপ দেখে এলাকার সাধারন মানুষে রাতের বেলায় চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝেও রয়েছে সাপ আতঙ্কে। বিশেষ করে উপজেলা প্রশাসনের নিচতলায় সাপের দেখা মেলায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনে আতঙ্ক দেখা দেয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

আড়াইসিধা গ্রামের দেওয়ান ভূইয়া জানান, কিছুদিন ধরে আমার ঘরের আশে পাশে সাপ দেখতে পাই। এরপর থেকে আমার পরিবারের লোকজনের মধ্যে সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের বেলায় চলাচল করতে গেলে ভয়ে বাইরে যেতে পারি না। পরে একজন সাপুড়ের (তান্ত্রিকের) সঙ্গে কথা বলে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। সাপুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখে ৫টি বিষধর গোখরা উদ্ধার করে। প্রতিটি সাপ লম্বায় প্রায় ৩ থেকে সাত ফুট।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আহমেদ খান জানান, উপজেলা প্রশাসনের অফিসার্স ক্লাবের পাশেই কিছু গর্ত রয়েছে। এসব গর্ত থেকে প্রায়ই সাপ উঠে আসে। সাপের আতঙ্কে রাতের বেলায় উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে ভয়ে যেতে পারি না। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দিনের বেলায় সাপ সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে থাকলে ভয় আরো বেড়ে যায়।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিরুল কায়ছার জানান, উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের আশেপাশে যে কয়টি সাপ রয়েছে তা ধারার জন্য আমরা সাপুড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ইতোমধ্যে একটি বড় বিষধর গোখরা সাপ জীবিত উদ্ধার করেছে। সাপুড়েকে আবারো আনা হবে এবং উপজেলা প্রশাসনকে সাপমুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রশাসনের বাহিরে থাকা সাপ ধরার জন্য চেষ্ট করা হবে।

এ ব্যাপারে সাপ ধরতে আসা সাপুড়ে তান্ত্রিক আবুল কালাম লালন বলেন, বর্ষা মৌসুমে উজান এলাকার পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বিষধর এই সাপ এসেছে। পানির স্রোতের সঙ্গে এসব সাপ বিভিন্ন এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। পুরোনো বাড়ি গুলোতে এসব সাপ বাসা বানায়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন সময়ে আশুগঞ্জ থেকে ২৪ টি বিষধর গোখরা ধরেছেন এবং এলাকায় আরো সাপ থাকতে পারে বলে জানান তিনি। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!