• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ের এলাকাকে দুর্গত ঘোষণার দাবি ফখরুলের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১৯, ২০১৭, ১০:২৬ পিএম
পাহাড়ের এলাকাকে দুর্গত ঘোষণার দাবি ফখরুলের

জাসাসের ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পাহাড়ি ধসে ভয়াবহ বিপর্যস্ত এলাকাকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণার দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসাথে মানবিক বিপর্যয়ে হতাহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালনে সরকারের প্রতি দাবিও করেছেন তিনি।

সোমবার (১৯ জুন) গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। ফখরুল বলেছেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি যে, অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও যেসব অঞ্চলে ভূমিধস হচ্ছে-ওইসব এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হোক এবং হতাহতের সন্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হোক।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যখন এখানে ইফতার করছি, তখন অনেক দূরে একদম দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের ভাই-বোনেরা খুব কষ্টে আছেন। তাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ছে। আত্মীয়-স্বজনরা মারা গেছেন। ভূমিধসে ১৭০ জনের মতো মানুষ মারা গেছেন। তারপরও দুঃখজনকভাবে সরকার কোনো রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেনি এবং এখনো ওই অঞ্চলটিকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করেনি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি র এ মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রহীন দেশে প্রকৃত সংস্কৃতি চর্চা হয় না। গণতন্ত্র ও অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে দেশ চলছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে জাসাস এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে তারা সত্যিকার অর্থেই দেশের মানুষের প্রকৃতি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা করবে এবং দেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেবে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলছি, আমরা গণতন্ত্র চাই। এটা চাই বলেই আমরা সবসময় লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ সরকার হরণ করে নিয়েছে। আমরা মনে করি একমাত্র সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেটাকে ফিরিয়ে আনার দাবি আমরা জানাচ্ছি।

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমত’ সৃষ্টির জন্য জাসাসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই তিনি ভিশন-২০৩০ দিয়েছেন। সেখানেও তিনি সংস্কৃতি সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যে লড়াই সেটা বিএনপির লড়াই নয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত লড়াইও নয়। এটি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার ও বেঁচে থাকার প্রশ্নের লড়াই। নিজস্ব সংস্কৃতি বজায় রাখবার লড়াই।

জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুস সালাম, তাহমিনা রুশদী লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রান্তিক ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন খান উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জাসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!