• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব

পিছিয়ে যাচ্ছে ইলিশের মৌসুম


এম এ আজিম, বরগুনা জুলাই ২৬, ২০১৭, ১১:২১ এএম
পিছিয়ে যাচ্ছে ইলিশের মৌসুম

বরগুনা: ইলিশ মৌসুম শুরুর দুই মাস পার হয়েছে। দুই মাস পরে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সামান্য কিছু ইলিশ উঠতে শুরু করেছে। বিগত বছরগুলোর হিসেবে অতি সামান্য।

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ইলিশ মাছের পরিভ্রমণের সময়ে পরিবর্তন এসেছে। ফলে ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছেনা ইলিশের। আবার প্রজনন সময় হিসেবে যে সময়কে নির্ধারণ করা হয়, তা পার হয়ে গেলেও ইলিশের পেটে পাওয়া যাচ্ছে পরিপক্ব ডিম। জেলেরা বলছেন, পিছিয়ে যাচ্ছে ইলিশের মৌসুম। আর বিশেষজ্ঞরা বলছে, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ইলিশের ওপর।

জেলেরা বলছেন, ক্রমাগত ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে ইলিশ ধরা পড়ার সময়। যে সময়কে বর্তমানে ইলিশ মৌসুম হিসেবে ধরা হচ্ছে তার অর্ধেক পার হলেও ইলিশের দেখা মিলছেনা। আবার মৌসুম শেষ হলেও পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।

জেলেরা আরো বলেন, বৃষ্টি বাদল বাতাস এগুলো স্রোতে মাছ উঠে। আরও কিছুদিন পর মাছ উঠবে।

ইলিশের প্রজনন কালেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। জেলেরা বলছেন, মা ইলিশ রক্ষার্থে যখন অবরোধ দেয়া হয় তখন ডিম থাকেনা ইলিশের পেটে। আবার অবরোধ শেষ হওয়ার পর যে ইলিশ ধরা পড়ে তার পেটে পাওয়া যায় পরিপক্ব ডিম।

জেলেরা বলেন, অবোরোধ যখন শেষ হয়ে গেছে তখন প্রতিটা মাছের পেটে ডিম। অবরোধের দশ থেকে পনেরো দিনের পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে মাছের পেটে ডিম।

তবে বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করেই ইলিশ ধরা পড়ার মৌসুম ও প্রজনন-কাল। এমনটাই দাবি এই গবেষকের। তিনি বলেন, যখনই বৃষ্টিপাত প্রচুর হবে আমাদের এখানে সাগর উপকূল থেকে তখন মাছ আসা শুরু করবে। তখন ইলিশের পরিমাণ বাড়বে।

অবশ্য মৎস্য বিভাগ বলছে, পরবর্তীতে ইলিশের ওপর যে কোন কর্মসূচি দেয়ার ক্ষেত্রে গবেষণা অব্যাহত আছে। তারা বলেন, 'সেই সময় ইলিশ যাতে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।'

বরগুনার জেলেরা বলছেন, ঝড়ো হাওয়া ও দক্ষিণামুখী বৃষ্টিপাতের সময় সমুদ্রে ব্যাপক পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ে। তাই আষাঢ়,শ্রাবণ ও ভাদ্রকে ইলিশের ভরা মৌসুম ধরা হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!