পুরো মন্ত্রণালয়কে দায়ী করিনি: নাসির

কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করে আলোচনায় থাকা চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ব্যক্তির জন্য মন্ত্রণালয়কে বা পুরো প্রশাসনকে অভিযুক্ত করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমি পুরো মন্ত্রণালয়কে দায়ী করি নাই। সরকারের ভাবমূর্তি হিসেবে যারা বিষয়টি আনছে, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করেছে।’

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বারের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন চসিক মেয়র নাছির। এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতিসহ চেম্বার নেতারা উপস্থিত ছিলেন সাংসদ এম এ লতিফ।

গত বুধবার চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম নগর সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র নাছির অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাকে ৫ শতাংশ করে দিতে রাজি না হওয়ায় করপোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাননি। যদি ৫ শতাংশ করে দিতে পারতাম, তাহলে বরাদ্দ ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা আনতে পারতাম।’ 

পরে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এই বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এদিকে সাত দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে পারবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেয়র নাছির বলেন, ‘প্রমাণটা ভিন্ন বিষয়। আমি যেটা জবাব দেব, সেটা আমি দেব। করতে পারব কি পারব না, সেটা আমার বিষয়। এখানে প্যাঁচানোর কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘একাডেমিক ডিসকাশন যখন করব, তখন অনেক ধরনের কথা আসবে। আমি তো কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে যাইনি। এটাকে টুইস্ট করলে চলবে না। আমি রাজনীতি করি। প্রকল্পকাজ কেন শেষ হয়নি, এ ধরনের প্রশ্নে আমাকে তো উত্তর দিতে হবে।’

শনিবার (১৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে সিটি করপোরেশনকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য ১০টি রিকশা ভ্যান প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রের নিচতলায় চেম্বার নেতারা ১০টি রিকশা ভ্যান হস্তান্তর করেন মেয়রের কাছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সাংসদ এম এ লতিফ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি মিলিয়ে প্রায় নয় হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। অথচ চট্টগ্রাম নগরের আয়তন ওই দুটি সিটির চেয়ে বেশি হলেও এখানে ১ হাজার ৭০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। এ জন্য লোকবল নিয়োগের প্রয়োজন হলেও ৩০ বছর আগের জনবলকাঠামোতে চলছে এই সিটি করপোরেশন। এখন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করে সরাসরি বাসা থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারব।

অনুষ্ঠানে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে চেম্বার প্রাথমিকভাবে ১০টি রিকশা ভ্যান দিচ্ছে সিটি করপোরেশনকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম