• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশ পরিচয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ!


নোয়াখালী প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮, ০৭:৩৩ পিএম
পুলিশ পরিচয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ!

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী: জেলার চাটখিল উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে এক কিশোরীকে (১৬) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ মামলার এজাহার থেকে যুবলীগ নেতাকে বাদ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরীর স্বজনেরা।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার হলো- মজিবুর রহমান ওরফে শরীফ। তিনি উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী তার পরিবারের সঙ্গে নোয়াখোলা ইউনিয়নের এয়াছিন বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশ পরিচয়ে ৫/৬জন যুবক ওই বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান। পরে ওই কিশোরীকে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে বাড়ির সামনে ফেলে যান।

ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানান, ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান ওরফে শরীফসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। কিন্তু তিন দিন পর শরীফের নাম বাদ দিয়ে দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে শরীফ ও অন্য আসামিরা তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতেও তাদের বাড়ির সামনে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

কিশোরীর বাবা বলেন, শরীফ ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। এ ঘটনায় মেয়ে ও পরিবার নিয়ে তিনি চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন।

তবে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরীফ তার বিরুদ্ধে অনীত ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, তিনি ধর্ষণ বা হুমকি দেয়া কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। স্থানীয়ভাবে যুবলীগের দুটি পক্ষ রয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় অপরপক্ষ তাকে জড়িয়ে থাকতে পারে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহ্বায়ক ও চাটখিল পৌর মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে শরীফ অপরাধী প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। যদিও একটি মহল এই মামলায় শরীফকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার বলেন, ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ নিয়ে কিশোরী ও তার মা গত ৮ ফেব্রুয়ারি নয়, ১০ ফেব্রুয়ারি থানায় আসেন। ওই দিনই তাদের দেয়া অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগে যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। পরের দিন ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে, তবে এখনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে শরীফের নাম এলে তাকেও আসামি করা হবে বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!