• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ মেরে ৩ জঙ্গি ছিনতাইয়ের হোতা এই ফারুক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬, ১১:৩৩ এএম
পুলিশ মেরে ৩ জঙ্গি ছিনতাইয়ের হোতা এই ফারুক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গে আটক জেএমবি সদস্য আনোয়ার হোসেন ফারুকই ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ‘হোতা’ ফারুক হোসেন ওরফে জামাই ফারুক বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ভারতে দুদিন আগে আটক ছয় জঙ্গির মধ্যে আর কেউ বাংলাদেশি থেকে থাকলে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই ফারুক আমাদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। ২০১৩ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার যে ঘটনা ঘটেছিল তার হোতা ছিল ফারুক। তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও হয়েছে। কোলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স গত শনি ও রবিবার পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে ফারুকসহ ছয়জনকে আটক করে, যাদের মধ্যে চারজন ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।  

ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে ইনাম জেএমবির পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বনগাঁওয়ের বাগদা রোড থেকে রবিবার তাকে আটক করে পুলিশ। 

ওই ছয়জনের কাছ থেকে বিস্ফোরক, ডেটোনেটর, জাল পরিচয়পত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং বাংলাদেশি ও ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয় কোলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতটুকু জেনেছি, সে-ই (ফারুক) ধরা পড়েছে। তবে অফিসিয়ালি এখনো আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। অফিসিয়ালি জানতে আরো সময় লাগবে।
২০১৩ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যা করে জেএমবির শুরা সদস্য রাকিবুল হাসান ও সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি এবং বোমা বিশেষজ্ঞ মিজানকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পালানোর পথে ওই দিনই মির্জাপুরে আটক হন রাকিবুল হাসান। পরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। বাকি দুজনের কোনো খোঁজ না পেয়ে বাংলাদেশের পুলিশ তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।

পরের বছর বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবির নাম আসার পর তদন্ত করতে ঢাকায় আসে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএর একটি প্রতিনিধিদল। সে সময় বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সন্দেহভাজনদের নামের একটি তালিকা দেন তারা, যাতে সানি, মিজান ও ফারুকের নামও আসে। 

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, জেএমবির একটি অংশের নেতা মাওলানা সাঈদুর রহমান কারাগারে থাকায় ওই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ‘জামাই ফারুক’। তিনিই ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন বলে পুলিশের সন্দেহের কথাও বলা হয় সে সময়। 

কোলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আটক ছয় জঙ্গি পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে জেএমবির স্লিপার সেল চালাচ্ছিল। তারা সেখানে হামলার পরিকল্পনা করছিল বলেও তদন্তকারীদের ধারণা। আটক ওই ছয়জনের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি বলে কয়েকটি পত্রিকার খবরে বলা হয়। 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানার চেষ্টা করছি। তারা বাংলাদেশি হলে আমাদের সঙ্গে ভারতের চুক্তি আছে, তার মাধ্যমে আমরা তাদের নিয়ে আসব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!