• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাকে ল্যাংটা করে পিটিয়ে হত্যা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৩, ২০১৭, ০৩:০১ পিএম
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাকে ল্যাংটা করে পিটিয়ে হত্যা

ঢাকা :  ভারত শাসিত কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ সুপারকে ল্যাংটা করে পরে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে সেখানকার কিছু উত্তেজিত জনতা। গতরাতে রাজধানী শ্রীনগরের নওহাট্টার জামিয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শবে কদরের নামাজের জন্য মসজিদে একে একে হাজির হচ্ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রাত তখন সাড়ে ১২টা। হঠাৎই এক ব্যক্তিকে মসজিদের বাইরে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে সেই ব্যক্তি হঠাৎই মসজিদের ভিতরে ঢুকে ছবি তুলতে শুরু করেন। 

কিন্তু ছবি তোলা নিয়ে কিছু লোক আপত্তি জানায় এবং পরে তাকে ঘিরে ফেলে। চলতে থাকে মারধর। প্রাণ বাঁচাতে নিজের পিস্তল থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। তারপরই প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে তার পিস্তল কেড়ে নিয়ে মারতে থাকে।

তাকে বিবস্ত্র করে চলে ব্যাপক মারধর। পাথর দিয়ে থেতলে দেয়া হয় তার মাথা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। 

তবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তি জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আয়ুব পণ্ডিত। তিনি কাশ্মীরের খানইয়ারের বাসিন্দা। 

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের নিয়মানুযায়ী নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত পুলিশকর্মীরা সাধারণ পোশাক পড়ে কাজ করেন। ওই মসজিদের সামনে অবস্থিত পুলিশ-চৌকিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আয়ুব ডিউটি করছিলেন সাদা পোশাকেই। যারা প্রতিদিন মসজিদে আসতেন তাদের অনেকই এই পুলিশ কর্মকর্তাকে চিনতেন।

যদিও কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মুহাম্মদ আইয়ুব পণ্ডিত একজন অমুসলিম এবং তিনি নিরাপত্তা এজেন্সিতে কর্মরত। এরকম একটা গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তখন।

গণপিটুনিতে পুলিশ অফিসারের এই মৃত্যুকে লজ্জাজনক বলে বর্ণনা করেছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। রাতের ওই ঘটনার পরে শ্রীনগরের সাতটি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

সোনালীনিউজ/ এসও

Wordbridge School
Link copied!