• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে গরু পাচার বাংলাদেশে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১২, ২০১৭, ০১:০৯ পিএম
পুলিশের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে গরু পাচার বাংলাদেশে

ঢাকা : পুলিশ-প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদেই পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রচুর গরু পাচার হচ্ছে। প্রায় ১৪ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সীমান্তের আট কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ১৫টি পশু হাট বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু আজও তা করা হয়নি। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০-২০০ গজের মধ্যে প্রায় ৩০০টি গ্রাম রয়েছে। যেখানকার গ্রামবাসীদের অধিকাংশের মূল পেশা গরু পাচার ও চোরাচালান। রাজনৈতিক মদদ থাকায় এই পাচারকারীরা আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।  

ভারতের গরু পাচার বন্ধের পথে সবচেয়ে বড় বাধা সীমান্ত সংলগ্ন হাটগুলি। পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫টি পশু হাট রয়েছে। এসব হাট যাতে না বসে, সে দিকেও দৃষ্টি রাখতে বলেছে কেন্দ্র সরকার।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। মন্ত্রণালয় জানায়, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে গরু এসে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে পৌঁছাচ্ছে। পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদেই গরুর পাচার হচ্ছে। নির্দিষ্ট একটি রুটও বানিয়ে ফেলেছে তারা। পুলিশের যোগসাজশ না থাকলে এভাবে গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

সমস্যা রয়েছে পাচারের আগে আটক করা গরুর নিলামের ক্ষেত্রেও। সাধারণত, ধরা পড়া গরু নিলাম করে শুল্ক দফতর।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নিলামে সেই গরু কিনে নেয় পাচারকারীরাই। তার পর ফের সেগুলিকে পাচার করে তারা।  

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ-প্রশাসনের দিকে আঙুল তোলায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিএসএফের একাংশ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের সামনে দিয়ে গরু পাচার হয়। বিএসএফের প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া পাচার সম্ভব নয়। তাছাড়া, কেন্দ্রের অধীনস্থ শুল্ক দফতরই নিলামের নামে পাচারকারীদের হাতে ধরা পড়া গরুগুলি তুলে দেয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!