• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পৃথিবীতে ভূত আছে না নেই, কী বলে বিজ্ঞান


বিজ্ঞান-প্রযুক্ত ডেস্ক মার্চ ৪, ২০১৭, ০৩:৫২ পিএম
পৃথিবীতে ভূত আছে না নেই, কী বলে বিজ্ঞান

ফাইল ছবি

ঢাকা: পৃথিবীতে ভূত বা প্রেতাত্মা আছে কি নেই, এটা নিয়ে সভ্যতার প্রথম থেকেই গবেষণা হচ্ছে। তবে এর স্থায়ী কোনো উত্তর মেলেনি। তবে রহস্যময় এই বিষয় নিয়ে এগিয়ে এসেছেন এক বিজ্ঞানী। ইতোমধ্যে তিনি এর উত্তরও দিয়েছেন। 

যুক্তিবাদীরা সর্বদাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভূতের অস্তিত্বে। তারা বার বার বলেছেন, ভূত যে আছে তার প্রমাণ কোথায়? এর উত্তরে ভূতবাদীরা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন— ভূত যে নেই, তার প্রমাণটাই বা কই? এহেন পাল্টাপাল্টি প্রশ্নোত্তরে কেটে গেছে যুগের পর যুগ।

এবার বিশ্বখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী ব্রায়ান কক্স একটা গ্রহণযোগ্য উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছেন। এ বিষয়ে গবেষণা করে বলেছেন, ভূতের অস্তিত্ব আমলে নেই। যদি তা সত্যিই থাকত, তাহলে বিশ্বের সব থেকে বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তা অবশ্যই ধরা পড়ত। 

কক্স জানিয়েছেন, মানুষের মৃত্যুর পরে তার আত্মা কোথায় যায়, তা নিয়ে সভ্যতার উন্মেষের কাল থেকেই মানুষ সন্ধান চালিয়েছে। যদি তেমন কোনো ‘যাওয়ার জায়গা’ থাকত, তা হলে তা নিশ্চিতভাবেই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সার্ন-এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার-এ ধরা পড়ত।

লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার আসলে বিশ্বের বৃহত্তম আণবিক বিশ্লেষক। চৌম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই যন্ত্র মাহাজগতের মৌলিক বস্তুসমূহকে বুঝতে যায়। এই বিশ্লেষণ থেকে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমান জগতের প্রতিটি এলিমেন্টকেই জানা বা বোঝা যায়। লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যে কোনো এনার্জিকেও বিশ্লেষণ করতে সমর্থ।

কক্সের মতে, ভূত যদি থাকত, তবে তারা এনার্জি দিয়েই গঠিত হত। কারণ, আত্মা যে কোনও পদার্থ দিয়ে গঠিত নয়, তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। অথচ থার্মোডাইনামিকস-এর দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী এনার্জি উত্তাপে লোপ পায়। একমাত্র যদি ভূতেরা এই সূত্রকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল জেনে থাকে, তা হলে কিছু বলার নেই। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে, তা হলে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার তাদের খোঁজ পেতই।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!