ঢাকা : বকেয়া ভ্যাটের দুই হাজার কোটি টাকা চেয়ে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এক সপ্তাহের মধ্যে এ টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। যদিও এর আগে বকেয়া ভ্যাট পরিশোধে বুক এডজাস্টমেন্টের সিদ্ধান্ত নেয় সরকারের এই দুই সংস্থা।
কিন্তু বুক এডজাস্টমেন্ট হলে এনবিআরের আয়ে তার উল্লেখ থাকবে না। তাই আবারো টাকা দাবি করছে এনবিআর।
গ্রাহকের কাছে গ্যাস বিক্রিতে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করলেও এনবিআরের কোষাগারে তা জমা দেয় না পেট্রোবাংলা। নীরিক্ষায় ধরা পড়ে পেট্রো বাংলার অধীন গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলি ও জালালাবাদের কাছে এনবিআরের পাওনা প্রায় ১৯ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।
গত মার্চে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে ১৩ হাজার ২শ কোটি টাকা বুক এডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। আর বাকি টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার কথা জানায় অর্থমন্ত্রণালয়।
কিন্তু কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল সিএজির নিয়ম অনুযায়ী বুক এডজাস্টমেন্ট হলে তা এনবিআরের আয়ে উল্লেখ হবে না।
বিভিন্ন সময়ে এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, বেশি দামে গ্যাস কিনে ভর্তুকির দিয়ে বিক্রি করায় ভ্যাট পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।
যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট না দেয়ার মানসিকতা অন্যদের প্রভাবিত করে। আর হিসাবে অমিল আর্থিক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
গ্যাস বিক্রিতে প্রায় ৯৪ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করে পেট্রোবাংলা। ভ্যাট আইন অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান ভ্যাট পরিশোধে ব্যর্থ হলে মাসে ২ শতাংশ সুদ দিতে হয়। এ হিসাবে পেট্রোবাংলার কাছে এনবিআরের পাওনা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :