• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পোপের সঙ্গে বৈঠক: রাখাইনে বাংলাদেশ আর্মি চায় রোহিঙ্গারা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৫, ২০১৭, ০৯:৪৬ পিএম
পোপের সঙ্গে বৈঠক: রাখাইনে বাংলাদেশ আর্মি চায় রোহিঙ্গারা

ঢাকা: মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সম্প্রতি। সেই সময়ে ১২টি দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসবের মধ্যে রয়েছে, নির্যাতন বন্ধে ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মিয়ানমারে রাখতে হবে নিরাপত্তার জন্য। গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে আন্তঃধর্মীয় সমাবেশে পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ১৬ সদস্য বিশিষ্ট রোহিঙ্গা দল নেতা আহমদ হোসেন (৬০) সাংবাদিকদের একথা জানান।

আহমদ হোসেন বলেন, মিয়ানমারে ১৩৫ জাতি রয়েছে। তারমধ্যে রোহিঙ্গাদেরও একটি জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আরাকানে অবস্থানরত মিয়ানমার সামরিক জান্তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। মিয়ানমারের আইটিবি ক্যাম্পে আশ্রয়ের নামে নজরবন্দী করে রাখা সাতহাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশুকে বাড়ি-ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তারা রোহিঙ্গাদের জীবননাশের জন্য সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে মাটির নিচে স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে, তা সরিয়ে ফেলে নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া, ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমার সামরিক জান্তা কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা ও পুড়িয়ে দেয়া বাড়ি ঘর পুনর্নির্মাণ ও লুণ্ঠিত মালামাল ফেরত দিতে হবে। মিয়ানমারের জেলখানায় আটক পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মিয়ানমারে রাখতে হবে। রোহিঙ্গা যুবকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রাখতে হবে। ছেলে/মেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ালেখার সুযোগ দিতে হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তা বর্বর আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য লিখিত চুক্তি করতে হবে। তিনি বলেন, এসব দাবির কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন পোপ ফ্রান্সিস।

১৬ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন- বালুখালী ক্যাম্পের আহমদ হোসন (৬০), কামাল হোসন (৪৮), লালু মাঝি (৪০), ব্লক মাঝি ফয়েজুল্লাহ (৩৮), আইয়ুব আলী মাঝি (৪০), খাইরুল আমিন (৪৫), কলিম উল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ ইউনূছ (৩২), গুলিবিদ্ধ মিয়া হোসেন (২৫), মৌলভী কলিম উল্লাহ (৩৫) ও ধর্ষিতা তিন নারী ও শিশু। সাক্ষাত্কালে বার্মিজ ভাষায় লেখা দাবির একটি অনুলিপি পোপ ফ্রান্সিসের হাতে তুলে দেন তারা।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!