• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জাবি শিক্ষকের


জাবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮, ০৬:৪৩ পিএম
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জাবি শিক্ষকের

জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ২০১৫-২০১৬  শিক্ষাবর্ষের ফল প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালিদ কুদ্দুস।  গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোনালী নিউজে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সোনালী নিউজের সম্পাদক বরাবর এই তিনি প্রতিবাদ লিপি পাঠান।

প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন প্রকাশিত নিউজে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। স্নাতকত্তোর থিসিস গ্রুপের ফলাফলের একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানানো হয় ফলাফলে ১ জনের সিজিপিএ ৩.৫২,৫ জনের সিজিপিএ ৩.৪৫ ও বাকী সিজিপিএ ৩.৪৫। ৫০১,৫০৮ ও ভাইভা কোর্সে পরীক্ষার্থীরা ভালো করলেও ৫০৩ নং কোর্সে আশানুরূপ ফল না করার কারণে তাদের গড় ফলাফল কমে যায়। এর দায় বিভাগের সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালিদ কুদ্দুস নিতে পারেন না বলে উল্লেখ করেন প্রতিবাদ লিপিতে।

এছাড়া উল্লেখ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এ্যাক্ট অনুযায়ী ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। তাই তিনি পুনর্মূল্যায়নের অবেদন গ্রহণ করেননি। নিউজে অধ্যাপক ড. মো. খালিদ কুদ্দুসের পারিবারিক বিষয় প্রকাশ করার প্রতিবাদও জানানো হয়।

আরও দাবি করা হয় বিভাগের কর্মচারী নিয়োগের যে তথ্য সোনালীনিউজ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও ভুল। তাছাড়া আর্থিক লেনদেনের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার কোনো প্রমাণ নেই বলে উল্লেখ করা হয়।

বিভাগের ৪০ ব্যাচের থিসিস গ্রুপের ফলাফল আটকে রাখার বিষয়ে প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয় থিসিস গ্রুপের একজন শিক্ষার্থীর ভারতের পন্ডিচেরী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি স্নাতকোত্তর পরীক্ষা থাকায় তাদের ভাইভা ও থিসিস জমাদানের তারিখ বিলম্ব করা হয়। তাই তিনি এই ঘটনায় তাকে জড়ানোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে দাবি করেন।

এ ছাড়া  বহিঃস্থ পরীক্ষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ব্যক্তিগতভাবে ব্যস্ত থাকায় ৩৯ ব্যাচের মোস্তাকিম বিন মোতাহারের (আকাশ) সাক্ষাৎকারের ভাইভাতে বহিঃস্থ পরীক্ষক ছিলেন না বলে জানানো হয়। একই কারণে ৩৯ ব্যাচের থিসিস গ্রুপের বাকিদের ভাইভাতেও কোনো বহিঃস্থ পরীক্ষক ছিলেন না।

প্রতিনিধির বক্তব্য : স্নাতকোত্তর শ্রেণির ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্বের ফলাফলের তুলনায় স্নাতকোত্তর ফলাফল অনেক কম। এর কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা বলে লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের কাছে। যার কপি প্রতিনিধির হাতে রয়েছে। ৪০ ব্যাচের ভাইভা ও থিসিস জমাদানের তারিখ পেছানোর ঘটনা প্রতিবাদ লিপিতে অস্বীকার করা হয়নি। তবে একটি কারণ উল্লেখ করেছেন প্রতিবাদ লিপি প্রেরক অধ্যাপক ড. মো. খালিদ কুদ্দুস।

এ ছাড়া ৩৯ ব্যাচের ভাইভাতে মোস্তাকিম বিন মোতাহারের সময় বহিঃস্থ শিক্ষক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কথা বলা হলেও নিউজে প্রকাশিত অধ্যাপক নুসরাত জাহান কেন ছিলেন না তা নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। তাছাড়া মোস্তাকিম বিন মোতাহারকে পরবর্তীতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া। তাই তার ভাইভাতে বহিঃস্থ শিক্ষক না থাকার খবর নিউজে প্রকাশিত হয়। তবে নিউজে অধ্যাপক ড. মো. খালিদ কুদ্দুসের পারিবারিক বিষয় প্রকাশ করায় প্রতিনিধি দুঃখ প্রকাশ করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!