ঢাকা : গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে এগিয়ে থাকতে চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, বিএনপির প্রার্থী জিতলে উন্নয়ন ও সেবা দুটোতেই পিছিয়ে পড়বে এলাকার জনগণ। এ প্রচারণায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে বলে দাবি নেতাদের।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ওই দুই নির্বাচন ঘিরে দলীয় ঐক্য ও যথার্থ প্রচারণা হচ্ছে কি না সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।
নির্বাচন সমন্বয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে দুটি কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। খুলনার কমিটির নেতৃত্বে আছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। আর গাজীপুরে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানককে। এই দুজনের নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর আরো পাঁচ-ছয়জন করে নেতা আছেন।
দুই প্রার্থীর পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে খুলনা সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরার কারণে জনগণও উপলব্ধি করছে আমার বিজয়ের বিষয়টি। এজন্য আমরা আশাবাদী এবার ভালো ফল হবে।
গাজীপুরে দলের পক্ষে মেয়র পদে আগ্রহী প্রার্থী ছিলেন অনেক। ঝানু রাজনীতিবিদ আজমত উলাহ খানকে বাদ দিয়ে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। পাশাপাশি স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেলও পুরোপুরি সমর্থন দেননি। এসব ঝামেলা মেটানোর জন্য কেন্দ্র থেকে চেষ্টা চালানো হয়েছে। এরই কৌশল হিসেবে অ্যাডভোকেট আজমত উলাহ খানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
মনোনয়ন না পাওয়া আজমত উলাহ খান বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি। সরকারের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগানো হচ্ছে ভোট টানার কৌশল হিসেবে। আশা করি এবার ভালো ফল পাওয়া যাবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :