• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারণার অভিযোগে বিচারকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন


যশোর প্রতিনিধি মার্চ ৩০, ২০১৭, ১০:১১ পিএম
প্রতারণার অভিযোগে বিচারকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

যশোর: স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন রেখে পুনরায় বিয়ে করার অভিযোগে এক বিচারকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী জবা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিচারক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী কেশবপুর উপজেলার বুড়–লিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে জবা খাতুন।

অভিযুক্ত বিচারক সাতক্ষীরা আদালতের সহকারী জজ হারুন অর রশিদ। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা গ্রামের আবদুস সামাদ শেখের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে জবা খাতুন বলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা গ্রামের ছামিদুল বিশ্বাস নামে এক ঘটক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জবা খাতুনের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তার বাবা-মার কাছে যান। পাত্র হিসেবে তারই গ্রামের ছেলে সাতক্ষীরা আদালতের সহকারী জজ হারুন অর রশিদের কথা বলেন।

এরপর হারুন অর রশিদ তাদের বাড়িতে এসে দেখাশুনার পর্ব শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি খুলনার রয়েল হোটেলে এক লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর জবাকে নিয়ে সাতক্ষীরা শহরে একটি বাসা ভাড়ায় সংসার শুরু করেন। হঠাৎ মাঝেমধ্যে ফোনে ঝগড়াঝাটি করতে এবং হারুন অর রশিদকে মানসিক বিপর্যস্ত ও বিচলিত দেখায় জবা খাতুন তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। কিন্তু তিনি বলেন, অফিসিয়াল সমস্যা আছে। ওই সমস্যার জন্য ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন বলেও তাকে জানানো হয়। কয়েকদিন পরে জবাকে তার বাবার বাড়ি রেখে আসেন হারুন অর রশিদ।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে কামরুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাড়িতে এসে জবাকে বলে তার মেয়ে সানজিদা আক্তার বিথিকে ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল হারুন অর রশিদ বিয়ে করেছে। হারুণ-বিথি দম্পত্তির একটি মেয়েও আছে। এ বিষয়টি হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে জবাকে বলেন ‘আমার ভুল হয়েছে, তুমি আমাকে ভুলে যেও’। পাশাপাশি ডিভোর্স দেয়ার জন্য জবাকে চাপ দেয়া হচ্ছে।

এরপর গত ১৯ মার্চ জবা বাদী হয়ে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে এবং ২৩ মার্চ প্রতারণা ও ব্যাভিচারী আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জবার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, তার খালু মাওলানা আবদুল হান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনাসহ জবা খাতুন তার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।   

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিচারক হারুণ-অর-রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!