• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
ট্রাম্প-কিম মুখোমুখি আজ

প্রত্যাশার পাশাপাশি আছে প্রবল ঝুঁকিও


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১১, ২০১৮, ১০:৪৮ পিএম
প্রত্যাশার পাশাপাশি আছে প্রবল ঝুঁকিও

ঢাকা : অনেক জল্পনা-কল্পনার মধ্য দিয়ে আজ বহুল আলোচিত বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের মধ্যস্থতায় উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ শর্তে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে বৈঠকে মিলিত হবেন ওই দুই নেতা। এ কারণে গোটা সিঙ্গাপুরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। খবর বিবিসি ও সিএনএন।

নানা নাটকীয়তার পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সুসম্পর্কের নতুন দ্বার খুলবে নাকি কয়েক দশক ধরে চলমান বিরোধ-বৈরিতা রয়েই যাবে- এ নিয়ে দোলাচলে গোটা বিশ্ব। ফলে এ বৈঠককে ঘিরে সারা বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্র এখন সিঙ্গাপুর। এটাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কোনো নেতার প্রথম বৈঠক। এর থেকে দীর্ঘদিনের বিরোধিতার অবসান হতে পারে বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

প্রায় দেড় বছর ধরে ট্রাম্প-কিমের মধ্যে বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছিল। এক দেশ আরেক দেশকে প্রায়ই দেখে নেওয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছিল। এ কারণে সারা বিশ্বের মানুষ গভীর মনোযোগ আর উদ্বেগ নিয়ে লক্ষ রাখছিলেন দুই নেতার গতিবিধির ওপর। অবশেষে আস্ফালনের বারুদ মিইয়ে এসেছে, গলতে শুরু করেছে বরফ। হিংসা আর বাদানুবাদের বিপরীতে উঁকি দিচ্ছে শান্তির আশাবাদ। যদিও বৈঠকটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক হবে সেটা নির্ভর করবে দুইপক্ষের সদিচ্ছা, কূটনৈতিক সক্ষমতা ও নমনীয়তার ওপর।  

বৈঠকে যোগ দিতে গত রোববার দুই নেতা সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার পৃথকভাবে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পিয়ংইয়ং এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের এক নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ দেশটির প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে জানায়, একটিমাত্র বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব নয়।  মুন জায়ে ইনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুন চুং ইন জানান, উত্তর কোরিয়ার অতীতের ব্যবহার দিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থানকে বিচার করা উচিত হবে না। এখন সবকিছু পাশে রেখে আলোচনার সময়। সোমবারও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ হয় ট্রাম্পের।

এছাড়া উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত সুং কিম এবং উত্তর কোরিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চৌ সুন হুই।  

বিশ্লেষকদের মতে, এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি না হলে উত্তর কোরিয়া তার অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করবে না। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চাপ প্রয়োগ করলে উল্টো ফল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

অবশ্য ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, এক বৈঠকেই পরমাণু বিষয়ে সমঝোতা হবে না। যদিও এর আগে তিনিই বলেছেন, বৈঠকে বসার এক মিনিটের মধ্যে তিনি বুঝে যাবেন কী হতে চলেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!