প্রথমবার মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা মহানগরী ফুটবল টুর্নামেন্ট

ঢাকা: দেশের ফুটবলের সোনালী দিনের আশায় ভাল মানের ফুটবলার তৈরির লক্ষ্যে প্রথমবারের মত মাঠে গড়াচ্ছে ‘ওয়ালটন প্রথম ঢাকা মহানগরী ফুটবল টুর্নামেন্ট’। প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগের দল, পাইওনিয়র ফুটবল লিগের দল এবং বিকেএসপি ও বাফুফের অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল দলসহ মোট ১২টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে।

ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির ব্যবস্থাপনায় গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। আগামী ২৭ জুলাই  উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে টাঙ্গাইল ফুটবল একাডেমি বনাম আছাদুজ্জামান ফুটবল একাডেমি। প্রতিযোগিতার ফাইনাল হবে ১০ আগস্ট। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফিসহ এক লাখ ও রানার-আপ দল পাবে ট্রফিসহ ৫০ হাজার টাকা প্রাইজমানি। এ ছাড়া প্রত্যেকটি দল অংশগ্রহণ বাবদ নির্ধারিত ম্যাচ অর্ধ পাবে।

শনিবার বিকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন,  ‘আমরা চাচ্ছিলাম ১২টি দলকে দুই গ্রুপে বিভক্ত করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। যাতে দলগুলো প্রত্যেকে ৫টি করে ম্যাচ খেলতে পারে। কিন্তু মাঠ সমস্যার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। সে কারণে বাধ্য হয়েছি চারটি গ্রুপে ভাগ করে ম্যাচের সংখ্যা কমাতে।

 হারুনুর রশিদ আরও বলেন, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে পরিকল্পনা করে ও হাতে সময় নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার চেষ্টা করব। ফুটবলের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের মধ্যে নিয়ে আসব। আমরা চাচ্ছি এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তরুণ ও প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড় তুলে আনতে। ১২টি দল থেকে ২৫ জনের মতো খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি ওয়ালটন এবং মিনিস্টার ফ্রিজের মতো প্রতিষ্ঠানকে আমারা সব সময় পাশে পাব। ওয়ালটন গ্রুপ ক্রীড়াঙ্গনকে সচল রেখেছে। সব ধরনের খেলাধুলার পাশে দাঁড়াচ্ছে তারা। সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক হওয়ার সুযোগ করে দেয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা জানেন ওয়ালটন গ্রুপ সব ধরণের খেলাধুলায়ই পৃষ্ঠপোষকতা করার চেষ্টা করছে। ফুটবলের সঙ্গে ওয়ালটন গ্রুপ সব সময় রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া। এই টুর্নামেন্ট আসলে এক ধরণের ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম। কারণ, এখানে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ, পাইওনিয়ার, বিকেএসপি ও বাফুফের তরুণ ফুটবলাররা অংশ নিবে। তাদের মধ্য থেকে নিঃসন্দেহে ভালো কিছু ট্যালেন্ট খুঁজে বের করা যাবে। যারা জাতীয় দলের পাইপলাইন সম্পৃদ্ধ করবে। এক সময় জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিবে। সে কারণেই এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আমরা সব সময় ফুটবলের পাশে আছি।’

টুর্নামেন্টের কো-স্পন্সর মিনিস্টার ফ্রিজের চেয়ারম্যান এম.এ রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা ফুটবলকে ভালোবাসি। ক্রিকেটকেও ভালোবাসি। খেলাধুলার পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করি। ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আমরা সব সময় পাশে আছি। সুন্দর ও সফল একটি টুর্নামেন্ট হবে বলে আশা করছি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরনের টুর্নামেন্টের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালেহ জামান সেলিম ও সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্যরা।

টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারি দলগুলো হল: ‘ক’ গ্রুপ থেকে টাঙ্গাইল ফুটবল একাডেমি, ড. ওয়াজেদ মিয়া ক্রীড়া চক্র ও আছাদুজ্জামান ফুটবল একাডেমি। খ গ্রুপ থেকে মনসুর স্পোর্টিং ক্লাব, শান্তিনগর ক্লাব ও আরাফ স্পোর্টিং ক্লাব। ‘গ’ গ্রুপ থেকে আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরা, মীর হাজীরবাগ স্পোর্টিং ক্লাব ও বাফুফে অনুর্ধ্ব-১৬ একাদশ এবং ‘ঘ’ গ্রুপ থেকে বিকেএসপি, রেইনবো অ্যাথলেটিক ক্লাব ও নারিন্দা জুনিয়র লায়ন্স ক্লাব অংশ নিচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই