• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধান বিচারপতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৪:০০ পিএম
প্রধান বিচারপতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে এর পর্যবেক্ষণে মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়গুলোকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শনিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ‘বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস’ স্মরণে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মফিজুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করার পর আমরা কোনো কথা বলেনি। কিন্তু পর্যবেক্ষণে যা বলা হয়েছে তা নিয়ে তীব্র আপত্তি আছে। এখানে সংবিধানের মীমাংসিত বিষয়গুলোকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে গোটা দেশের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মীমাংসিত বিষয়। কিন্তু আপনি (প্রধান বিচারপতি) এটা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আপনি লিখলেন ‘father’s of nation’। এটা দিয়ে কি বুঝায়? আমাদের জাতির একাধিক পিতা! কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আপনি একথা বলেছেন? জাতি জানতে চায়, আপনি কি বুঝাতে চান? কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান?

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনি আপনার অবস্থান থেকে সরে না আসলে বাংলার জনগণ তা কখনো মেনে নিবে না। আপনার দায়িত্ব সংবিধান রক্ষা করার। আপনি সংবিধান অনুযায়ী চলবেন। কিন্তু মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার অধিকার আপনাকে কেউ দেইনি।

হানিফ আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হবে। অনেকেই থাবা দিচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে কোনো একটা ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু আমরা বলে দিতে চাই, পূর্ণ মেয়াদকাল পর্যন্ত এ সরকার ক্ষমতায় থাকবে। বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নানা সময় আন্দোলন করেছে। কিন্তু তারা বারবার ব্যর্থ হয়ে এখন অশুভ পথ বেছে নিয়েছে। ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগ তা রুখে দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।

সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধী এবং ’৭৫-এর দোসররা এখনো এদেশে রয়ে গেছে। তারা নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এদেরকে সমূলে উৎপাটন এবং ধ্বংস করতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অনেক দেরী হবে। শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে এসব পাকিস্তানি দোসরদের বাংলাদেশ থেকে বিতারিত করতে হবে। তাদের সমূলে উৎপাটন করতে পারলেই শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারবো।

জাকির হোসাইন বলেন, বাঙালি জাতি হিসেবে এদেশে বসবাস করতে চাইলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে থাকতে হবে। যারা মানবে না, তারা এদেশে বসবাস করার অযোগ্য। তারা পাকিস্তান চলে যান। এদেশে থাকার অধিকার নেই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলের সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!