• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
কোটা সংস্কার আন্দোলন

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখুন, গুজবে কান দেবেন না


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১১, ২০১৮, ০৩:০৯ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখুন, গুজবে কান দেবেন না

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক উপ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটু ধৈর্য ধরুন। কোনো গুজবে কান দেবেন না। ডিভাইসিভ পলিটিক্সের শিকার হবেন না। কারণ অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

মন্ত্রী বলেন, আমি সেদিন যা বলেছি। আজও একই কথা বলবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাঠিয়েছিলেন। কোটাব্যবস্থা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সেই বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক ও ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। তারা আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে, সুর মিলিয়েছিল। আন্দোলন স্থগিত করেছে। এরপর কী হলো? কেন আবারও কী কারণ তারা আন্দোলনে আছে সেটি আমার জানা নেই। সরকারের প্রধানমন্ত্রী তার পার্টির সেক্রেটারিকে পাঠিয়েছিলেন এটাই সরকারের বক্তব্য।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ পার্সনাল কথা বলতেই পারেন। তিনি মন্ত্রী হতে পারেন, এমপি হতে পারেন, বড় নেতা হতে পারেন। সেটি তাদের নিজস্ব বক্তব্য। আমি যেটি বলেছি সেটিই সরকারের বক্তব্য। বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্য এদেশে একটি মতলবি মহল আছে। প্রধানমন্ত্রীর কথা আস্থা রাখুন। কোটা আন্দোলনটা যেন বিভক্তির রাজনীতির শিকার না হয়। আমারা এর মধ্যে খবর পেয়েছি, কিভাবে এ আন্দোলনকে কারো মুক্তির আন্দোলনে পরিণত করা যায়, তার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমার দলের নেতৃবৃন্দকে বলবো দায়িত্বশীল আচরণ করতে। আর যারা আন্দোলন করছেন তারাও যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে বিশ্বাস রাখে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন যারা করছেন তারা যেন এ আন্দোলনেই থাকে। কারো খেলা স্বীকার না হয়।

দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্যশীল থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দায়িত্ব, জ্ঞানহীন আচরণ করা যাবে না। আমি আন্দোলনকারীদের আবারো বলব গুজবে কান না দিতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকরা গত ৯ বছর কোনো সুযোগ পায়নি। কিন্তু এখন তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের সার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের বলবো কারো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হবেন না। অশুভ রাজনীতির ছায়া যেন বিস্তার না করতে পারে। যদি আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব তাদের হাতে চলে যায় তাহলে দেশে ক্ষতি হবে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শেখ হাসিনার সরকার ভুল হলেও ভুল সংশোধনের সৎ সাহস রাখে।

মন্ত্রী বলেন, আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন-উত্তর পর্ব আছে। সেখানে এই কোটা প্রসঙ্গ চলে আসতে পারে। সেখানে দেখুন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, মতিয়া চৌধুরী আমাকে বলেছেন তিনি ঢালাওভাবে কথা বলেননি। তিনি বলেছেন যারা ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করেছে তাদের বলেছি। ঢালাওভাবে বলেননি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন স্পর্শকাতর সময় অতিক্রম করছে সরকার। এই সময়ে দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্বশীল কথা বলা উচিত। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বললে তা উসকানিমূলক হয়। তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলবেন না।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোলল মডেল। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সুফল জনগণ না পেলে তা ফলপ্রসু হবো না, লাভ নেই। তাই কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী হতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যেন আপনাদের (নেতাকর্মীদের) আচরণে কষ্ট না পায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!