• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না সাংসদরা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৮, ২০১৭, ০১:০২ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না সাংসদরা

ঢাকা : সংসদ সদস্যদের সামগ্রিকভাবে কয়েকটি প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় কেনো সংসদ সদস্যই সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

গতকাল রোববার (০৭ মে) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের নবম তলায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নের কথা যদি আমরাই না জানি তাহলে জনগণের কাছে বলবেন কি করে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের সাফল্য আছে। কিন্তু এই সাফল্য প্রচারে সফল নয় আওয়ামী লীগ। এই ব্যর্থতার জন্য দলীয় সাংসদদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সরকারের সাফল্য মানুষের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী একাদশ জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে নিজ নিজ এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করতে বলেন। এসময় তিনি বেশ কয়েকজন এমপির কাছ থেকে জানতে চান, সরকার কতজন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দিয়েছে? কতজনকে ভিজিএফ কার্ড দেয়া হচ্ছে? কতজনকে অসহায়-বিধবা ভাতা দেয়া হচ্ছে, কতটি কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে- ইত্যাদি।

এ সময় বেশিরভাগ এমপিই প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। তখন প্রধানমন্ত্রী এমপিদের আরও বেশি পড়াশোনা করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমরা এত আর্থ-সামাজিক বিপ্লব ও উন্নয়ন করেছি। এমপিরাই যদি এসব বিষয়ে অজ্ঞ হোন, তবে আমরা জনগণকে কীভাবে অবহিত করব।

তখন প্রধানমন্ত্রী মজা করে বলেন, ‘সামনে নমিনেশন বোর্ডে কিন্তু এসব প্রশ্ন করা হবে।’

সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে কারা দলের মনোনয়ন পাবেন তা জানার জন্য তিনি ছয় মাস অন্তর অন্তর জরিপ চালাচ্ছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এসব জরিপে যার অবস্থান ভালো আসবে, তারাই মনোনয়ন পাবেন। এ বিষয়ে কারও কথা শোনা হবে না।

তিনি আরও বলেন, এটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নয়, যে একজন ভোট না দিলেও সমস্যা নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে। ফলে যাকে মনোনয়ন দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসবে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে দলীয় নেতাদের সতর্ক করেন শেখ হাসিনা। তিনি নেতাদের আরও বলেন, যাদের অবস্থা খারাপ, তাদের এখনো ভালো করার সুযোগ আছে। এ সময়ের মধ্যে নিজেদের অবস্থান ভালো করতে পারলে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

ছিলেন স্বতন্ত্র সাংসদেরা : বৈঠক সূত্র জানায়, রোববারে বৈঠকে ১১ জন স্বতন্ত্র সাংসদ প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে অংশ নেন। শেখ হাসিনা তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে জানান, এই সাংসদেরা এখন থেকে আওয়ামী লীগের অংশ। ১৬ জন স্বতন্ত্র সাংসদের মধ্যে বাকি পাঁচজন অংশ নেননি। এঁরা হলেন উষাতন তালুকদার, রুস্তম আলী ফরাজী, মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), মকবুল হোসেন ও রহিম উল্লাহ।

গত ৩ মে স্বতন্ত্র সাংসদদের একটি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সংসদ ভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই তাদের আওয়ামী লীগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।


সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!