• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর ফোনে স্বস্তিতে আনোয়ার


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৬, ২০১৬, ০৯:২৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর ফোনে স্বস্তিতে আনোয়ার

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নেতাকে কোনো রকম টেনশন না করতেও বলেছেন।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রী মুঠোফোনে তার সঙ্গে কথা বলেন। ফোনে কথা বলার সময় আনোয়ারকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়ার খবরটিও জানান দলীয় প্রধান।

এদিকে আনোয়ার হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে যান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীও।

আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত জানান, আনোয়ার হোসেন এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ। তাকে দেখতে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন এমপি শামীম ওসমান, এমপি সেলিম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী।

জি এম আরাফাত আরো জানান, শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ হওয়ার পর দ্রুত তাকে ঢাকার ধানমণ্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন আনোয়ার হোসেন। পরে প্রধানমন্ত্রীও ফোন করে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, কথোপকথনের শেষে আনোয়ার হোসেন আমাকে জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ার কথা বলেন। শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আনোয়ার হোসেনকে জানান, ‘তোমাকে আমরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করেছি।’

প্রধানমন্ত্রীর সেই আশ্বাসের পর আনোয়ার হোসেনের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। আনোয়ার হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে ফোনেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘নেত্রী আমি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ, চিরঋণী। এ ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। আপনি আমাকে মূল্যায়ন করে ধন্য করেছেন।’

সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সিলেটে শাহজালাল ও শাহপরাণের মাজার জিয়ারত করতে শুক্রবার ভোরে সিলেটে যান তিনি। পরে বিকেল ৪টায় জানতে পারেন, আনোয়ার হোসেনকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে ইসলাম হার্ট সেন্টার ও পরে সেখান থেকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সিলেট থেকে ফিরে শুক্রবার রাতে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে গিয়ে আনোয়ার হোসেনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

সূত্রমতে, গত ১৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মেয়র পদে আনোয়ার হোসেনের নাম প্রস্তাবের সিদ্ধান্তের সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অনির্ধারিতভাবে সহসভাপতি চন্দন শীলের নাম প্রস্তাব করেন এমপি শামীম ওসমান। তখন সবাই হাত উঁচিয়ে সমর্থন দিলেও নির্দেশনা না থাকায় জেলা পরিষদের পছন্দের নাম কেন্দ্রে পাঠানো যায়নি। তবে চন্দন শীল পরে নিজেই ধানমণ্ডিতে সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন। তা ছাড়া গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও চন্দন শীলের বৈঠকে তাকে সমর্থন জানানো হয়। সর্বশেষ গত ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন চন্দন শীল। সেদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোয়া চান। তবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে সব কিছু পাল্টে গেছে।

ভোটের দায়িত্বে সেই আনোয়ার কাকাই!

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!