• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: প্রতিবেদন দাখিল ১১ ডিসেম্বর


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ৩০, ২০১৭, ০৩:৪০ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: প্রতিবেদন দাখিল ১১ ডিসেম্বর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি। আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব এ দিন ধার্য করেন। এ মামলাটি তদন্ত করছেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম।

গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এম এম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অভিযোগে বিমানের ৯ কর্মকর্তাকে আসামি করে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মামলাটি করেন।  

এজাহারে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সফরে গত বছরের ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি ঠিক করা হয়। আসামিরা বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা। এই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাদের ওপর। আগের দিন উড়োজাহাজ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারা রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।

অথচ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানের পাইলট তুর্কিমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। সেখানে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ত্রুটি মেরামত করে ওই ফ্লাইটেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান।

অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আসামিরা যোগসাজশে যন্ত্রপাতি নিয়া অবহেলামূলক আচরণ করত অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম সংগঠন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছর ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুদাপেস্ট যাওয়ার জন্য পূর্বনির্ধারিত বাংলাদেশ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। বিমানের ইঞ্জিনে তেল বিপৎসীমার নিচে নেমে যাওয়ার সংকেত পেয়ে ওই বিমানে সফরকারী সবাইকে নিয়ে পাইলট তুর্কিমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে নিরাপদে অবতরণ করে। পরবর্তীতে সফরসঙ্গীদের অন্য বিমানে পাঠিয়ে দিলেও ত্রুটি সারিয়ে ওই বিমানেই চার ঘণ্টা বিলম্বে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান গন্তব্যে। ত্রুটি সারতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই বিমানের ইঞ্জিনের অয়েল ট্যাংকের নাট ঢিলা ছিল। ঘটনাটি মানবসৃষ্ট বলে অভিমত দেওয়া হয়।

অপরাধমূলক ওই ষড়যন্ত্রে বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ কর্মকর্তা জড়িত মর্মে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে যন্ত্রপাতি নিয়া অবহেলামূলক আচরণ করত অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম সংঘটিত করার বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  

চিহ্নিত ৯ জনের মধ্যে গত বছরের ৩০ নভেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের ছয় কর্মকর্তা। পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন তিন প্রকৌশলী।

নথিদৃষ্টে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে বিমানের প্রকৌশলীসহ উচ্চ পদস্থ ১১ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, নাজমুল হক, সামিউল হক, লুত্ফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস এবং জাকির হোসাইন, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান এবং জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম। সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!