• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাবশালী প্রেসিডেন্টদের সুন্দরী দাপুটে কন্যারা


ফিচার ডেস্ক এপ্রিল ৬, ২০১৭, ০৫:২৭ পিএম
প্রভাবশালী প্রেসিডেন্টদের সুন্দরী দাপুটে কন্যারা

ঢাকা: রাজনীতিক না হয়েও প্রবল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার ঘটনা বিশ্বের বহু দেশে আছে। বিশেষ করে প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কদের ছেলে মেয়েরা রাজনৈতিক প্রভাবকে ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছেন বিশ্বের বহু দেশের প্রেসিডেন্ট ও রাজনীতিকদের সুন্দরী কন্যারাও। তারা বাবার প্রভাব খাটিয়ে প্রবল দাপট দেখানোর চেষ্টা করেন। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে ঠিক তেমনি কিছু রাজকন্যার কথা আজ আমরা সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছি...

ইভানকা ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভানকা ট্রাম্পকে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ব্যক্তিগত অফিস প্রদান করা হয়েছে। এরইমধ্যে ইভানকা তার বাবার প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছেন। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে চীনের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়। ইভানকার ছোট্ট মেয়েকে মুখস্থ করানো হয়েছে চীনের সংগীত। সেই সঙ্গে তা ভিডিও করে গণমাধ্যমে প্রচারও করেছেন। এভাবে বাবার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ইভানকা তার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী প্রভাবের জাল বিস্তার করছেন।

মরিয়ম নওয়াজ, পাকিস্তান 
মরিয়ম নওয়াজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে। মূলত পরিবারের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তিনি। ২০১৩ সালে তার বাবার সফল পুনঃনির্বাচনের প্রচারাভিযান পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এখন তার ডানপন্থী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) জন্য কাজ করছেন। আর তাতে কাজে লাগাচ্ছেন তার বাবা রাজনৈতিক প্রভাব।

ইয়েকাতেরিনা পুতিন, রাশিয়া
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়ে ইয়েকাতেরিনা। সুন্দরী এই রাজকন্যা একজন ডান্সারও। তার ব্যক্তিগত জীবন অত্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক। এখনো পর্যন্ত খুব কমই জানা গেছে পুতিনের দুই কন্যা সম্পর্কে। বিবিসির রাশিয়ার সংবাদাদাতা ফামিল ইসমেইলভ বলছেন, ‘পুতিনের মেয়েদের সম্পর্কে মিডিয়ার যেকোনো ধরনের আগ্রহে রাশিয়ান কর্মকর্তারা কিছুটা সন্দেহপ্রবণ। তাদের সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রকাশ পেলেও তা তাদের পরিবার থেকে কখনো নিশ্চিত করা হয়নি।’

২০১৫ সালে সর্বকনিষ্ঠ কন্যা ইয়েকাতেরিনা স্পটলাইটে আবির্ভূত হয়। পরে প্রকাশ পায় যে, তিনি কাতেরিনা টিকোনোভা ছদ্মনাম ব্যবহার করে মস্কোতে বসবাস করছেন। কিরিল শামালভ নামে ইয়েকাতেরিনা তার বাবার এক বন্ধুর ব্যবসায়ী পুত্রকে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে এই দম্পতি গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে আনুমানিক দুই বিলিয়ন ডলারের মালিক। ৩০ বছর বয়সী এই নারী একজন উৎসাহী নৃত্যশিল্পী। সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘রক ও রোল ড্যান্সার’ ২০১৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম হন।

তুরস্কের আদরের কন্যা সুমেয়ি
বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী নেতা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান। তার কনিষ্ঠ্য কন্যা সুমেয়ি এরদোগান (৩১)অত্যন্ত আদরের হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তার স্বামী ব্যবসায়ী ও বিজ্ঞানী। বিবিসির তুর্কি প্রতিনিধি আরেম কোকের জানান, ‘তার বাবা তাকে (সুমেয়ি) আদর করে ‘মায় গেজেল’ বলে ডাকেন। অত্যন্ত সুন্দর এবং দামি কোনো মানুষকে তুর্কিরা এ নামে ডেকে থাকেন।’

সুমেয়ি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল সায়েন্সে পড়াশুনা করেছেন। জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে তিনি তার বাবার একজন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অসংখ্যবার কূটনৈতিক ভ্রমণে বাবার সফরসঙ্গী হয়েছেন। বর্তমানে তুর্কি নারী অধিকার অ্যাডভোকেসি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও সুমেয়ি তার বাবার প্রচারণার কাজ ও তার সরকারের একজন স্পষ্ট সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ইসাবেল দস সান্তোস, অ্যাঙ্গোলা
সান্তোস (৪৩) অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট হোসে এদুয়ার্দো দস সান্তোসের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তিনি আফ্রিকার ধনকুবের হিসেবেই পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হোসে এদুয়ার্দো ১৯৭৯ সাল থেকে দেশ শাসন করেছেন। ব্রিটেনে পড়াশুনা করা সান্তোস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি ‘সোননগল’ এর প্রধান এবং ২০১৩ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী নারী ও প্রথম বিলিয়নিয়ার হিসেবে ওঠে আসেন। তিনি ৩.২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের মালিক বলে সেসময় ম্যাগাজিনটির তথ্যে বলা হয়।

ওজোদা রাহমান, তাজিকিস্তান
ওজোদা (৩৯) তাজিকিস্তানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট এমোমলি রাহমানের কন্যা। আইন বিষয়ে ওজোদা রাহমানের ডিগ্রি রয়েছে এবং ২০০৯ সালে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কূটনীতিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে তার বাবা তাকে দেশটির প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রশাসনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এছাড়াও, তিনি সিনেটের একটি আসনেও জয়ী হন। ওজোদা তাজিকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান জামোলিদ্দিনকে বিয়ে করেন এবং এই দম্পতির ঘরে পাঁচজন সন্তান রয়েছে।

মারেলিয়া কাস্ত্রো, কিউবা
যৌন সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর কন্যা মারেলিয়া কাস্ত্রো। প্রয়াত বিপ্লবী নেতা  ফিদেল কাস্ত্রোর ভাইঝি। বিবিসি মুন্ডোর লিলিয়েট হেরেডেরো বলছেন, ‘তার মা ভিলমা এসপিন নারীদের অধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন। আর এখন তার মেয়ে একরকম তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।’ মারেলিয়া কাস্ত্রো ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজধানী হাভানায় সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত সেক্স এডুকেশন বিষয়ক ন্যাশনাল সেন্টারের প্রধান হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!