• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘প্রযুক্তিবিদরাই হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল কারিগর’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭, ০৩:০২ পিএম
‘প্রযুক্তিবিদরাই হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল কারিগর’

ফাইল ছবি

ঢাকা: আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিদক্ষ নতুন প্রজন্ম হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। সেক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই কোন না কোন পেশায় দক্ষকরে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানান, সকালে মন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁও-স্থ আইডিইবি মিলনায়তনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত চীন সরকারের স্কলারশীপপ্রাপ্ত কারিগরি ক্ষেত্রের ৩৪৯জন শিক্ষার্থীর যাত্রাপূর্ব ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাসচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী নাহিদ বলেন বিশ্বের চীন, জাপান, জার্মান, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া ও সিংগাপুরসহ প্রতিটি উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের কারিগরি শিক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট হার ৬০ শতাংশের অধিক। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষা অত্যন্ত পিছিয়ে ছিল। ২০০৯ সালের আগে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ছিল ১ শতাংশের নিচে। বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে তা ১৪ শাতাংশে উন্নিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নিত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এ জন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন ২৩টি জেলায় একটি করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম-সিলেবাস, নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় কারিগরি শাখা সংযোজন করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্কলারশীপ প্রদান করে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এধারা আরো সম্প্রসারিত করা হবে। এই শিক্ষার্থীরা এক একজন দক্ষ জনবল হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগ কারিগরি শিক্ষা খাতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে জনাব নাহিদ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ৪২০ জন এবং পরে আরো ১১৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। চীনের গুয়াংজুতে ৫৮১ জন শিক্ষকের পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ চলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

কারিগরি তথা শিক্ষা খাতে এই প্রথম বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিদেশী সরকারের স্কলারশীপ প্রাপ্তি। চীন সরকারের ৩০ জন বাছাইকারক নিজস্ব পদ্ধতিতে বাছাই করে মোট ৩৪৯ জন শিক্ষার্থীকে স্কলারশীপ প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৩১৮ ছাত্র এবং ৩১ জন ছাত্রী। এরা চীনের ১০টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে। পরবর্তীতে সেখানে তারা উচ্চতর ডিগ্রিতে অধ্যয়ন তথা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এরা দেশের সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যয়ন করছিল। 

এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিয়াংসু এগ্রি-এ্যানিম্যাল হাজব্যান্ড্রি ভোকেশনাল কলেজ- ৮৭, হেইবেই কলেজ অব ইন্ডাস্ট্রি এন্ড টেকনোলজি- ১৮, ইয়াংঝউ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট- ৬৬, সিচুয়ান ভোকেশনাল কলেজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজি- ১২, নানজিং ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রি টেকনোলজি- ১৭, নানজিং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট- ৭১, চ্যাংঝউ ইনস্টিটিউট অব মেকাট্রনিক্স টেকনোলজি- ২৬, চ্যাংঝউ ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং- ১৮, জিয়াংসু মেরিটাইম ইনস্টিটিউট- ২২, চ্যাংদে ভোকেশনাল টেকনিক্যাল কলেজ- ১২ জন অধ্যায়ন করবে। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!