• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশিক্ষণ ছাড়াই সৌদি যাচ্ছেন গৃহকর্মীরা


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ৫, ২০১৮, ০৩:৫৯ পিএম
প্রশিক্ষণ ছাড়াই সৌদি যাচ্ছেন গৃহকর্মীরা

ঢাকা: এক মাসের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হলেও তা না নিয়েই সৌদি আরবে পাঠানো হচ্ছে বেশিরভাগ নারী গৃহকর্মী। টাকার বিনিময়ে সনদ দিচ্ছেন দালালেরা। পাসপোর্টে কম-বেশি করা হচ্ছে বয়স, বদলে দেয়া হচ্ছে ধর্মীয় পরিচয়ও। এসবের পরও বন্ধ হচ্ছে না এজেন্সির দৌরাত্ম্য।

অন্য যাত্রীরা স্বজনদের জন্য নানা সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরলেও সৌদি আরব থেকে শরীরজুড়ে নির্যাতনের ক্ষত আর দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে ফিরেছেন এই নারী কর্মীরা।

সেখানে নির্যাতনের একটি বড় কারণ হিসেবে প্রশিক্ষণের অভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে ৭০টি কেন্দ্রে এক মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না তারা।

এদিকে প্রশিক্ষণ ছাড়াই ভুয়া সনদে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে কর্মী পাঠাচ্ছে নানা এজেন্সি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করিয়েও ঘুষ দিয়ে মিলছে সুস্থতার সনদ।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশে জনশক্তি পাঠাতে স্বাস্থ্য সনদ দেয় গামকা। গত চার মাসে তাদের কাছ থেকে সনদ নিয়েছেন ৬০ হাজার জন। তবে ভিসা পেয়েছেন এক লাখ আশি হাজার কর্মী।

এখানেই শেষ নয় বয়স কমানো-বাড়ানোসহ ধর্মীয় পরিচয় বদলের অভিযোগও আছে বেশ কিছু এজেন্সির বিরুদ্ধে।

এছাড়া প্রলোভন-মিথ্যা তথ্যে সৌদি আরব পাঠানো নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে জনশক্তি রপ্তানি অফিসে।

সংকট কাটিয়ে উঠতে, গৃহকর্মীর বদলে খাতভিত্তিক দক্ষতা বাড়িয়ে কর্মী পাঠানোর পক্ষে অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। আর সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীও।

দেশে বৈধ জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার একশ ৭২টি। এর মধ্যে নানা অভিযোগে একশ ১১টির লাইসেন্স বাতিল করেছে সরকার।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!