• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ৯


বিশেষ প্রতিনিধি মার্চ ২৮, ২০১৭, ০৪:২৫ পিএম
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ৯

প্রতীক ছবি

ঢাকা: ভুয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (পশ্চিম) এর একটি টিম।  

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাত রাস্তা মোড় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটক সংলগ্ন যাত্রী ছাউনি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ইমেজের স্ক্রিনশট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ৯ জন হলেন- আশুলিয়ার গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মোজাফ্ফর হোসেন, টঙ্গীর কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন  সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের গনিত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলাম, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারী মো. আব্দুল মজিদ এবং চারজন ছাত্র মো. আরিফ হোসেন আকাশ ওরফে আদু ভাই, মো. সাইদুর রহমান, মো. রাকিব হোসেন ও তানভীর হোসেন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পরীক্ষার সেন্টারে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার পথে প্রশ্নের স্ন্যাপশর্ট নিয়ে তা ফেসবুক গ্রুপে উত্তরসহ দিয়ে দেয়। চক্রটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্ররা জড়িত রয়েছেন। পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫শ’ থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের উত্তর জানিয়ে দেয়া হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের তিনটি চিত্র উঠে আসে। প্রথমত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটিতে থাকা কোনো সদস্য কর্তৃক প্রশ্নফাঁস, দ্বিতীয়ত প্রশ্নপত্র মুদ্রণ (বিজি প্রেস) অফিস থেকে প্রশ্নফাঁস এবং তৃতীয়ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার কেন্দ্রে নেয়ার পথে প্রশ্নফাঁস।

আব্দুল বাতেন আরো বলেন, চক্রের মূলহোতা প্রিন্সিপাল মো. মোজাফ্ফর হোসেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র বুঝে পাওয়ার পর পথে প্রশ্নপত্র ইমেজের স্ক্রিনশট তুলে তা পাঠান অঙ্কের শিক্ষক আতিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। তারা দ্রুত তা সমাধান করে নিজেদের মধ্যকার ফেসবুক গ্রুপে দেন। সেখান থেকে দুই হাজারের মতো লোকের কাছে সমাধানসহ এই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় ইমো, ফেসবুক ম্যানেঞ্জার হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্সিপাল মোজাফ্ফরসহ গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন নামে ইমো, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়া প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে ভুয়া প্রশ্নপত্র অনলাইনে পোস্ট করে প্রতারণা করে আসছিলেন তারা।

এর আগেও গোয়েন্দা পুলিশ বিজি প্রেসের এক কর্মচারীকে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে তথ্য প্রমাণসহ গ্রেপ্তার করেছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!