প্রসঙ্গ ঘুষ: চীনা প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করলো ঢাকা

ঢাকা: সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষে দিতে চেয়েছিল চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। এজন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ফলে এখন থেকে চায়না হারবার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলো। তারা কোনো কাজে অংশ নিতে পারবে না। মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী। সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চীনা প্রতিষ্ঠানটি ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, ঘুষের প্রস্তাব পাওয়া ব্যক্তি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের বর্তমান সচিব নাকি গত অক্টোবরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া সচিব এম এ এন ছিদ্দিক তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) সংবাদ সম্মেলনে একটি চায়না কোম্পানির (চায়না হারবার) বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বলেছিলেন ওরা ঘুষ দিয়েছিল। যে সব কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই না, তারা সেক্রেটারিকে(সচিব) ঘুষ দিতে চেয়েছিল, সেক্রেটারি তা আমাকে জানিয়েছে।

ঘুষের পরিমাণ কত তা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কত বললো আমি ভুলে গেছি। ৫০ লাখ বা এমন কিছু হবে। এ কোম্পানি কী ব্ল্যাক লিস্টেড হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, অফকোর্স (অবশ্যই)।

অন্য কোনো কাজ কি এ কোম্পানি করতে পারবে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নো নো, দে ক্যান নট (তারা পারবে না)। অলরেডি তো কিছু কাজ তারা পেয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেটাও দেখা যাক কি করা যায়। নরমাল নিয়ম হল ব্ল্যাক লিস্টেট মিনস ব্ল্যাক লিস্টেড।

চীনের প্রতিষ্ঠান কি কাজ পাওয়ার জন্য ঘুষ দিতে চেয়েছিল- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কাজ তো হয়ে গেছে, পেয়ে গেছে তারা। এটা আমার জাস্ট মনে হয় খুশি রাখা। তারা চুরি করবে।

প্রসঙ্গত, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি চায়না হারবার কোম্পানি নির্মাণ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর একটি। প্রায় ৮০টি দেশে তারা কাজ করছে। সার্ভিস লেইনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেইনে উন্নীত করতে দুই বছর আগে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের।

সোনালীনিউজ/আতা