• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৯, ২০১৭, ০৯:১৫ এএম
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

ফাইল ছবি

ঢাকা: শিক্ষক সংকট নিরসনে সারাদেশে সরকারি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। আগামী মে মাস থেকেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বুধবার (৮ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা এ তথ্য জানা যায়।

সূত্রটি জানায়, পুল ও প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের মামলা জটিলতায় গত তিন বছর থেকে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হয়। এ ক্যাটাগরির শিক্ষকদের নিয়োগ জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। ফলে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়।

সূত্র জানায়, এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া, সেখানে ১০ হাজার আসনে প্রায় ১২ লাখ আবেদন জমা পড়ে। পরে মামলা জটিলতায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। এরপর পুল ও প্যানেলের সব শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ৩০ মার্চের মধ্যে এসব শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনার ভিত্তিতে দেশের সব জেলা থেকে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর।  

জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় সরকারি শিক্ষকদের ২৫ হাজারের বেশি শূন্য পদ রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ হাজার পুল ও প্যানেল শিক্ষক রয়েছে। তাদের অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাই সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক যোগদান করতে পারেন। এ কারণে মে মাসে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে বাকি শিক্ষক শূন্য আসনে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  

শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক সুলতান মাহামুদ। তিনি জানান, সারাদেশের প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শূন্য আসনগুলোতে ইতোমধ্যে পুল-প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পুল শিক্ষক কী?

২০১২ সালের ১৪ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়, সেখানে ১২ হাজার ৭০১ জন প্রার্থীকে তখনই শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ১৫ হাজার ১৯ জন প্রার্থীকে পরবর্তী সময়ে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ‘শিক্ষক পুল’ হিসেবে বাছাই করা হয়। 

বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য যে সাময়িক শূন্য পদ সৃষ্টি হয় (যেমন- মাতৃত্বকালীন, প্রশিক্ষণজনিত, শিক্ষা লাভজনিত ও অন্যান্য ছুটি) তার বিপরীতে পুল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। 

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, পুল শিক্ষকদের মাসিক সম্মানি হবে সর্বসাকুল্যে ৬ হাজার টাকা, সরকারি ছুটি ব্যতিত অন্য কোনো প্রকার ছুটি দাবি করতে পারবেন না পুল শিক্ষকরা, কর্তব্যস্থলে অনুপস্থিত থাকিলে প্রতিদিনের জন্য ২০০ টাকা হারে কর্তন হবে, অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে সর্বোচ্চ ৭ দিনের বিনা বেতনে ছুটি নিতে পারবেন এবং প্রতিবার নিয়োগের সময় ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রণীত মুচলেকায় স্বাক্ষর দিয়ে যোগদান করতে হবে।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!