• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমে বাধা দেয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা


ঝালকাঠি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮, ১০:৪৪ এএম
প্রেমে বাধা দেয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রাণ গেল সুখী আক্তার (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রীর। পরিবারের সঙ্গে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

বৃস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ আমুয়া হাসপাতাল সড়কের বাসা থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাঁশ উদ্ধার করে। সুখী উপজেলার আমুয়া গ্রামের আবদুল হাই সরদারের মেয়ে। সে আমুয়া গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে অস্টম শ্রেণিতে পড়তো।

জানা যায়, আমুয়া আমির মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের (আমুয়া) স্টার্ফ নার্স খাদিজা বেগমের ছেলে সাব্বির আহম্মেদের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওই ছাত্রীর। বুধবার সকালে স্কুল যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে ক্লাসে না গিয়ে হাসপাতালের নার্স কোয়াটারের সাব্বিরের বাসায় যায় সুখী।

এ সময় সাব্বিরের মা বাসায় ছিলেন না। খবর পেয়ে দুপুরে সুখীর ভাই রাকিব ওই বাসায় গিয়ে দুইজনকে একত্রে দেখতে পায়। তিনি সাব্বিরকে শাসিয়ে সুখীকে বাড়িতে নিয়ে বকা দেন। পরিবারের লোকজনও সুখীকে ওই ছেলের সঙ্গে মিশতে নিষেধ করে। রাতে ঘরের একটি কক্ষে ঘুমাতে যায় ওই ছাত্রী।

সকালে ঘুম থেকে ওঠানোর জন্য তাঁর বোন অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। এক পর্যায় পাশের বাসার লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানে সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলতে দেখে সুখীকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কাঁঠালিয়া থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, লাঁশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মেয়েটির মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!