• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
সাত খুন মামলা

প্রয়োজনে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে আপিল: পিপি


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ০৫:২২ পিএম
প্রয়োজনে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে আপিল: পিপি

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুন মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড তথা ফাঁসির আদেশ দেয়া হলেও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রায় ঘোষণার পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ওয়াজেদ আলী খোকন এসব কথা জানান।

তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের বিচারিক আদালতে একটি নির্ভুল রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আশা করি উচ্চ আদালতেও আমরা ন্যায় বিচার পাবো। অনেক সুষ্ঠুভাবে বিচার কার্য সম্পাদিত হয়েছে। বিচার চলাকালে আমি কোন ধরনের চাপ অনুভব করি নাই। মামলাটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যদি কোন চাপ বা তদবির থাকতো তাহলে এ মামলাটি ৮ মাসের মধ্যে ১০৬ জন্য সাক্ষীর সাক্ষ্য করে যুক্তিতর্ক করে রায়ের পর্যায়ে আনা যেতো না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থা সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা পর্যন্ত একটি ন্যায় বিচার হোক প্রত্যাশা করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি বিধায় আদালত সব আসামিকেই সাজা দিয়েছে। এ রায়ে আমরা খুশি। নারায়ণগঞ্জবাসী তো বটেই পুরো দেশবাসী ও বিশ্ববাসী তাকিয়ে ছিল এ রায়ের প্রতি। আমি মনে করি মানুষ ও বিচারপ্রার্থীদের আকাংখার প্রতিফলন ঘটেছে।

বহুল আলোচিত এ রায়ে প্রমাণ করেছে আইন সকলের চোখে সমান। কে কোন বাহিনীর, কোন সংস্থার, কে জনপ্রতিনিধি, কে রাজনীতিক সেগুলো আদালতের কাছে বিবেচ্য নয়। দেশের সংবিধানের উর্ধ্বে কেউ নয়। সে যত বড় প্রভাবশালী বা চেয়ারের মালিক হোক। দায়িত্বপ্রাপ্ত এলিট ফোর্স হিসাবে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং দায়িত্ব থেকে সরকারি পোশাক পরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড তারা করেছে। এ আদালত যে কোন অপরাধীর বিচার করতে পারে, আদালত যে কোন ব্যক্তিকে বিচারের সম্মুখীন করতে পারে এ রায়ের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হলো। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। কোন অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না। তার আজকে দৃষ্টান্ত। যে এলিট ফোর্সের বাহিনী হয়েও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়েও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিয়ে এখান থেকে যেতে হয়েছে।

পিপি আরও বলেন, নূর হোসেন পরিকল্পনা করার জন্য জড়িত। অপহরণ করার জন্য র‌্যাবকে সহযোগিতা করেছেন যা সাক্ষ্যপ্রমাণে এসেছে। নূর হোসেনের সঙ্গে র‌্যাবের একটা সম্পর্ক ছিল। সেই গভীর নিবিড় সম্পর্কের কারণে র‌্যাবের সঙ্গে তার একটা অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল। যার কারণে নূর হোসেনের সঙ্গে এ কাজটি করেছে। অপহরণ শেষে হত্যার পর লাশগুলো গুম করার জন্য লোকবল ও তার গাড়ি দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। ২১ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জন আসামি নূর হোসেনের সহযোগি বডিগার্ড থেকে শুরু করে তার ক্যাশিয়ার। তারই মূল্য পূর্বশত্রুতা কিভাবে র‌্যাবকে ব্যবহার করেছে র‌্যাব কিভাবে জড়িত হয়েছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!