প্লেবয়কে কাঁপিয়েছিল যে ৭ কেলেঙ্কারি

প্লেবয় ম্যাগাজিন তার উন্নতবক্ষা সুন্দরীদের জন্য জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু এই ম্যাগাজিনটির সঙ্গে জড়িতদের জীবন ছবিতে এদেরকে যতটা নিঁখুত দেখা যায় ঠিক ততটা নিখুঁত তো নয়ই বরং নানা চড়াই-উৎরাইয়ে পরিপূর্ণ। দুঃখজনক অকাল মৃত্যু থেকে শুরু করে মহাকাব্যিক সামাজিক গণমাধ্যম ব্যর্থতা, এগুলো হলো প্লেবয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি-

১. দানি ম্যাথারের নোংরামি ২০১৫ সালের প্লেমেট অফ দ্য ইয়ার দানি ম্যাথার এক নারীর নগ্ন ছবি স্ন্যাপচ্যাটে পোস্ট করে নিজের চরিত্রের কালো দিকটির প্রকাশ করেন। অথচ ওই নারী সরল বিশ্বাসেই দানিকে তার নগ্ন ছবি তুলতে দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে জিমনেশিয়ামে ব্যায়াম করতে গিয়ে তাদের দুজনের পরিচয় হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ২৯ বছর বয়সী এই সেক্স সিম্বলকে সঙ্গে সঙ্গেই তার রেডিও শো গিগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং এল এ ফিটনেস জিমনেশিয়াম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এবং ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

২. আনা নিকোল স্মিথের বেদনাদায়ক মৃত্যু ১৯৯৩ সালে প্লেবয় ম্যাগাজিনে প্রথম ছবি প্রকাশের পরপরই চারিদিকে ব্যাপক সাঁড়া ফেলে দিয়েছিলেন আনা নিকোল স্মিথ। যার ফলে সে বছরের বহুল আকাঙ্খিত উপাধি প্লেমেট অফ দ্য ইয়ার খেতাবও পান তিনি। এর কিছুদিন পর তিনি ফ্যাশন জগতের সেরা ব্র্যান্ডগুলোর একটি গেজ এর মতো কম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু তার বয়স্ক বিলিয়নিয়র স্বামী জে. হাওয়ার্ড মার্শাল এর মৃত্যুতে স্মিথের জীবনটা এলোমেলো হয়ে পড়ে। এরপর ২০০৬ সালে তার সন্তান ড্যানিয়েল স্মিথের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত মাদক সেবনে। আর ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি স্মিথ নিজেও দুর্ঘটনাবশত অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। ড্যানিয়েলিন বার্কহেড নামে এই মডেলের একটি মেয়ে বেঁচে আছে।

৩. ম্যারিলিন মনরোর সংক্ষিপ্ত জীবন ম্যারিলিন মনরো প্লেবয় ম্যাগাজিনের কভার পেজের জন্য প্রথম যে পোজটি দিয়েছিলেন সেটিই তাকে অনন্তকালের জন্য সেরা সেক্স সিম্বলের খেতাব এনে দিয়েছিল। কিন্তু সর্বকালের সর্বসেরা এই সেক্স সিম্বল অতিরিক্ত মাদক সেবন এবং মানসিক অবসাদের কারণে অকালেই প্রাণ হারান। ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট তাকে নগ্ন অবস্থায় মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার চারপাশে মাদক বড়ির খালি বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতেও দেখা গেছে। মৃত্যুর সময় মনরোর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৬।

৪. পামেলা অ্যান্ডারসনের সেক্স ভিডিও প্লেবয়ের আরেক সেরা মডেল পামেলা অ্যান্ডারসনের দু দটি সেক্স ভিডিও প্রকাশ হয়েছিল। একটি ছিল তার তখনকার বয়ফ্রেন্ড ব্রেট মাইকেল আর দ্বিতীয়টি ছিল তার সাবেক স্বামী টমি লির সঙ্গে। তবে বেওয়াচ খ্যাত এই তারকার দাবি ওই সেক্স ভিডিওগুলো তার অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করা হয়। আর এর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলাও ঠুকে দেন।

৫. ডরোথি স্ট্র্যাটেনের বিভীষিকামায় হত্যাকা- ১৯৮০ সালের প্লেমেট অফ দ্য ইয়ার ডরোথি স্ট্র্যাটেনকে হত্যা করেন তার স্বামী পল স্নাইডার। ডরোথি তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করায় পল হতাশ হয়ে তাকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর সময় স্ট্র্র্যাটেনের বয়স হয়েছিল মাত্র ২০। পলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে ডরোথি সিনেমা পরিচালক পিটার বোগডানোভিচের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। আর এতেই ইর্ষান্বিত হয়ে পল এই হত্যাকান্ড ঘটান। বোগডানোভিচ ডরোথিকে তার সিনেমা দে অল লাফড এ অভিনযের জন্য নির্বাচন করেছিলেন।

৬. ক্যাসান্দ্রা লিন হেনসলির বিয়োগান্তক মৃত্যু প্লেবয়ের আরেক প্লেমেট ক্যাসান্দ্রা লিন হেনসলিকে ২০১৪ সালে একটি বাথটাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৩৪। পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অতিরিক্ত মাদক ও কোকেন সেবনে তার মৃত্যু হয়েছে।

৭. চোল গোয়িনস এবং বিল কসবি প্লেবয়ের মালিক হিউ হেফনার কমেডিয়ান বিল কসবিকে তার প্লেবয় ম্যানশন পার্টিগুলোতে অল্প বয়সী নারীদেরকে তাদের অজান্তেই মাদক সেবন করানোর সুযোগ দিত বলে অভিযোগ করেন চোল গোয়িনস। তবে হেফনার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিল কসবির অপকর্ম সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। তবে চোল গোয়িনস এর অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ কসবি বা হেফনার কারো বিরুদ্ধেই ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই