• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফরহাদ মজহার ‘অপহরণ’ মামলার তদন্তে ডিবি


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ৫, ২০১৭, ০২:১৮ পিএম
ফরহাদ মজহার ‘অপহরণ’ মামলার তদন্তে ডিবি

ঢাকা : কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের ‘অপহরণ’ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকালেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ।

জোনাল টিমের গোয়েন্দা পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন মামলাটির তদন্ত করবেন। সোমবার (৩ জুলাই) রাতে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

আদাবর থানার মামলা নম্বর -৪। তিনি অভিযোগ করেন ওই দিন ভোরে বাসা থেকে বের হওয়ার পর ফরহাদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এর মধ্যে তার মোবাইল ফোন থেকে কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।  

অপহরণের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগর থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে। তিনি মিস্টার গফুর নামে টিকিট কেটে খুলনা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাতে অভয়নগর থানায় রাখার পর মঙ্গলবার সকালে ফরহাদ মজহারকে ঢাকার আদাবর থানায় ও পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আহসান হাবিবের খাস কামরায়। মঙ্গলবার বিকালে সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ফরহাদ মজহার। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে জবানবন্দি দেন ফরহাদ মজহার। এরপর নিজ জিম্মায় তাকে জামিন দেন বিচারক। আর জামিন পাওয়ার পর রাজধানীর বারডেম থানায় ভর্তি হয়েছেন তিনি।

লেখনী ও বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্যের কারণে ভীষণভাবে বিতর্কিত ফরহাদ মজহারের ‘অপহরণ’ নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। প্রথম দিন তার ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছিলেন, ফোন পেয়ে ভোরে তিন বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। তার বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা গেছে, তিনি ধীর পদক্ষেপে শান্তভাবে বের হচ্ছেন।

তবে পুলিশের কাছে ফরহাদ দাবি করেছেন, তিনি ভোরে ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন। আবার খুলনায় একটি রেস্টুরেন্টের মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ফরহাদ তাদের এখানে ভাত, সবজি ও ডাল দিয়ে ভাত খেয়েছেন। তিনি একাই এসেছিলেন এবং শান্তভাবেই বের হয়ে যান।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!