• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফরহাদ মজহারের অপহরণ রহস্যজনক: কাজী রিয়াজুল হক


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০১৭, ০৯:১২ পিএম
ফরহাদ মজহারের অপহরণ রহস্যজনক: কাজী রিয়াজুল হক

ঢাকা: কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারের অপহরণের বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। রোববার(১০ ডিসেম্বর)সকালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এদিকে পুলিশ বলছে, ফরহাদ মজহার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এখানে পুলিশের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ফরহাদ মজহারের অপহরণ রহস্যজনক। তার কথাবার্তা, আচার আচরণ রহস্যজনক। তিনি তিনমাস পর হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজের অবস্থান কেন জানান দিচ্ছেন? কাজী রিয়াজুল আরও বলেন, ফরহাদ মজহার যদি অপহৃতই হয়ে থাকবেন, তবে তা তিনি আদালতে স্পষ্ট করে বলেননি কেন? আর উদ্ধারের পর তিনি সে রকম অসুস্থও ছিলেন না।

তিনি চাইলে তখনই ঘটনা স্পষ্ট করতে পারতেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে- এমন কথাবার্তা ওঠায় তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে কথা বলছেন। এটা আরও রহস্যের জন্ম দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গুম-নিখোঁজ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা গুম কিংবা নিখোঁজ হচ্ছেন, পুলিশের দায়িত্ব তাদের ফিরিয়ে আনা। তারা একা ফিরে এলে পুলিশ তদন্ত করবে। অপহরণ হলেও তদন্ত করবে। তবে পুলিশের দায়িত্ব বেশি।

এদিকে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, আইন ফলো করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়। এখানে মারধর, নির্যাতন বা জোর করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও পুলিশ এখানে কোনোও হস্তক্ষেপ করেনি। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতনও করেনি পুলিশ।

তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ মজহার যা বলেছেন সেটা তার নিজস্ব মতামত।

প্রসঙ্গত, শনিবার(৯ ডিসেম্বর) নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি নাটক করিনি, আমাকে যা বলা হয়েছে, তাই করেছি। আদালতে দেওয়া জবানবন্দি আমার না। আমাকে যা লিখে দেয়া হয়েছে, আদালতে তাই দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘গুম’ করার উদ্দেশ্যেই ধরে নেয়া হয়েছিল।

সেখান থেকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জোরালো ভূমিকা রেখেছে, তবে পরে চাপ দিয়ে ও মারধর করে আমার কাছ থেকে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরিবারের কাছে যেতে দেয়া হয়নি। অনেকক্ষণ থানায় বসিয়ে রেখে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি অফিসে বিধ্বস্ত অবস্থায় জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য লিখিত কপি দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।

গত ৩ জুলাই সকালে রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে বেরিয়ে ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে। বিষয়টি নিয়ে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা পর গভীর রাতে নাটকীয়ভাবে যশোরে বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতারের করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ বলেছে, ফরহাদ মজহারকে অপহরণের প্রমাণ পাননি তারা।

পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে মজহার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। তাদের ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!