• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালের ট্রাজিক হিরো মান্দজুকিচের দুঃস্বপ্নের রেকর্ড


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০১৮, ১২:৩৯ এএম
ফাইনালের ট্রাজিক হিরো মান্দজুকিচের দুঃস্বপ্নের রেকর্ড

ঢাকা: একটি ম্যাচের দুরত্বে নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে গেলেন মারিও মান্দজুকিচ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নাছোড় জেদে দলকে জিতিয়েছিলেন। গোল করেছিলেন। গোলে সাহায্য করেছিলেন। একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন। চোট পেয়েও এমন খেলা খেলছিলেন, যাতে মনে হচ্ছিল একটা গোটা জাতির স্বপ্নপূরণের জন্যই খেলছেন। সেই মান্দজুকিচ ফাইনালে ছোট্ট একটি ভুলে ভিলেন হয়ে গেলেন। রেকর্ডও গড়লেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে এই প্রথম কোনও খেলোয়াড় আত্মঘাতী গোল করলেন। তবে এ রেকর্ড বোধহয় দুঃস্বপ্নেও মনে রাখতে চান না ক্রোট স্ট্রাইকার।

এবারের বিশ্বকাপ যেন আত্মঘাতী গোলের বোমাবর্ষণ। ব্রাজিল থেকে রাশিয়া সবার স্বপ্নভঙ্গের পেছনে থেকে গেছে এই আত্মঘাতী গোল। দেশের ডিফেন্স রক্ষা করার বাড়তি তাগিদেই এই ভুল হয়ে যায় খেলোয়াড়রদের। এদিন মান্দজুকিচের অবশ্য তেমন কোনও দোষ ছিল না। গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক আটকাতে লাফিয়েছিলেন। বল তাঁর মাথায় লেগে সোজা গোলে ঢুকে যায়। লাফিয়েও হাত ছোঁয়াতে পারেননি ক্রোট কিপার সুবাসিচ। যে মান্দজুকিচ দলকে ফাইনালে টেনে তুলেছিলেন, তার ভুলেই এদিন গোড়ায় গোল খেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।

পরে ফ্রান্স গোলরক্ষকের ভুলে সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন বটে, কিন্তু ততক্ষণে ইতিহাসে তাঁর নাম ঢুকে গিয়েছে। এই প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে কেউ আত্মঘাতী গোল করলেন।
সেমিফাইনালের অপর ক্রোট নায়ক পেরিসিচিও এদিন দলকে ডুবিয়েছেন। সেদিন তিনিও রাশিয়ার জালে বল জড়িয়েছিলেন। মান্দজুকিচের গোলও এসেছিল তাঁর পাস থেকেই। এদিন তিনিই হ্যান্ডবল করে ফেললেন। ভার-এ নিশ্চিত হয়ে পেনাল্টি দিলেন আর্জেন্টিনার রেফারি। সুযোগ পেয়ে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি গ্রিজম্যান।

সেমির দুই নায়কই আজ ভাগ্যের ফেরে ভিলেন হয়ে গেলেন। স্বপ্নভঙ্গ হলো ক্রোয়েশিয়ার। দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ফ্রান্স। তবে যে লড়াইয়ের নমুনা এই বিশ্বকাপে ক্রোটরা দেখিয়ে গেলেন, তা স্বপ্ন দেখাবে বহু ছোট ছোট দেশকে। জনসংখ্যা নয়, পরিকল্পনা-আবেগ আর লড়াই থাকলে যে সোনার ট্রফি একদিন না একদিন হাতে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তাই-ই যেন দেখিয়ে দিল ক্রোয়েশিয়া।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!