• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফিরলেন অ্যানি, নেপালের হিমগারে পড়ে আছে স্বামী-সন্তানের লাশ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৬, ২০১৮, ০৩:৪৯ পিএম
ফিরলেন অ্যানি, নেপালের হিমগারে পড়ে আছে  স্বামী-সন্তানের লাশ

ঢাকা : নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শেহরিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বৃহস্পতিবার। একই দুর্ঘটনায় আহত আরও তিন বাংলাদেশিকে শুক্রবার (১৬ মার্চ) দুপুরে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এ্যানি। এরা তিনজন একই পরিবারের সদস্য।

দেবর মেহেদী হাসান ও জা কামরুন্নাহার স্বর্ণার সঙ্গে শুক্রবার দুপুরের দিকে দেশে ফিরেন আহত আলমুন নাহার অ্যানি। নিজে ঢাকায় ফিরলেও কাঠমান্ডুতে তাকে রেখে আসতে হয়েছে স্বামী ও সন্তানকে। কারণ তারা আর জীবিত নন। বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে তারা এখন ঠাঁই পেয়েছেন নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি (টিইউ) টিচিং হাসপাতালের হিমঘরে।

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে গত ১২ মার্চ বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসানের পারিবারের পাঁচ সদস্য ছিলেন। বিমানে থাকা দুই দম্পতির পাঁচ সদস্য হলেন- নগরহাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ (৩২) ও তার স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি (২৫) এবং তাদের একমাত্র সন্তান প্রেয়সী (৩)। এছাড়া নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৩) ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)।

দুর্ঘটনায় অ্যানির ভাসুর মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা বেঁচে আছেন। বেঁচে আছেন আলমুন নাহার অ্যানিও। কিন্তু হারিয়েছেন স্বামী ফারুক আহমেদ ও তাদের একমাত্র সন্তান প্রিয়ংময়ী তামাররাকে।

প্রসঙ্গত, সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!