• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা বিপিএলের তিন


ক্রীড়া প্রতিবেদক  ডিসেম্বর ১০, ২০১৬, ০২:৩২ পিএম
ফিরে দেখা বিপিএলের তিন

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেলো আরেকটি বিপিএল। সেই ২০১২ সালে আইপিএলের আদলে বেশ হাঁক-ডাক ছড়িয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায়। শুরুতেই নানান বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলো বিপিএল। ফলশ্রুতিতে টানা দুই বছর হওয়ার পরের দুই বছর বন্ধ থাকে বাংলাদেশের রঙিন এই ক্রিকেট। সবচে মজার ব্যাপার হচ্ছে চলতি বছর ছাড়া প্রথম তিন আসরের শিরোপা জয়ী অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। গত তিনটি শিরোপাই তার হাতে শোভা পেয়েছিলো। এর মধ্যে দু’বার ঢাকার নেতৃত্ব দিতে গিয়ে, একবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে দিলেন শিরোপ উপহার। এবারই তিনি শিরোপা লড়াই থেকে ছিলেন বাহিরে। কোয়ালিফায়ার থেকে শুরু করে ফাইনাল ম্যাচের দর্শক ছিলেন মাশরাফি। 

তবে এবারও হয়ত হতো, পারেন নি শুরুর দিকের চরম ব্যর্থতায়। অথচ লিগ পর্বের শেষটা তার দল টানা চার জয় পেয়েছিলো। আর একটি ম্যাচ জিতলেই হয়ত ফাইনালে দেখা যেতে পারতো মাশরাফির দল। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ষষ্ঠ দল হিসেবে। এবার শিরোপা জিতেছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডাইনামাইটস।

তার আগে গত তিনটি শিরোপা ইতিবৃত্ত তুলে ধরা হলো ‘সোনালীনিউজ’-এর পাঠকদের সামনে---

প্রথম বিপিএল : ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো শুরু হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএল। ওই আসরে অংশ নেয় ৬টি দল। টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে বরিশাল বার্নার্স ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। প্রথম আসরের ফাইনালে ২৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় ঢাকা। আর তাতেই টুর্নামেন্টটির প্রথম শিরোপা হাতে নেওয়ার সুযোগ পান মাশরাফি। লিগ পর্বে ১০ ম্যাচের ৫টি জিতে তৃতীয় স্থানে থেকে সেমিফাইনালে যায় ঢাকা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খুলনা রয়্যালসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল তারা, ম্যাচটি জিতেছিল ৯ রানের ব্যবধানে।

দ্বিতীয় বিপিএল : ২০১৩ সালে দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয় বিপিএলের। এবার একটা দল বেড়ে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭টিতে। ওই আসরে আরও প্রভাব বিস্তার করে খেলে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। লিগ পর্বে ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টি জিতে শীর্ষে থেকেই সেরা চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা দলটি। সিলেটের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনাল খেলে ৪ রানের জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে উঠে মাশরাফির দল। এরপর চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ফাইনালে ৪৩ রানে জিতে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা।

তৃতীয় বিপিএল : টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালে বিপিএলের তৃতীয় আসর মাঠে গড়ায়। বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। নানা জটিলতায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর নতুন নিয়ম সংযোজন করে বিপিএলের তৃতীয় আসর মাঠে গড়ায়। মালিকপক্ষ পরিবর্তন হওয়ায় বেশকিছু দলের নামও বদলে যায়। ৬টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিপিএলের তৃতীয় আসর। এই আসরে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাশরাফি। সাদামাটা দল নিয়ে তৃতীয়বার বিপিএলের ট্রফি হাতে তোলেন মাশরাফি। দশ ম্যাচের ৭টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই প্রথম সেমিফাইনাল খেলে কুমিল্লা। ৭২ রানে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে কুমিল্লা। এরপর সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে খেলা বরিশাল বুলস। ম্যাচটিতে কুমিল্লা ৩ উইকেটে জেতে কুমিল্লা।
 


চতুর্থ বিপিএল : ২০১৬ সালে সঠিক সময়ই বিপিএল মাঠে গড়ায়। তবে এবারের বিপিএলে বেশ কিছু পরিবর্তন ছিলো লক্ষণীয়। দলের সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন দল নিবন্ধ। সাতটি দলটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিয়ে এবারের বিপিএল মাঠে গড়ায়। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে রাজশাহী কিংস। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) চতুর্থ আসরে রাজশাহী কিংসকে উড়িয়ে শিরোপা জিতলো সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডাইনামাইটস। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে-ই- বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে রাজশাহী কিংসকে ৫৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!