• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলকে ভালোবেসে লাখপতি মানিক


ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রংপুর ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭, ০৭:০৭ পিএম
ফুলকে ভালোবেসে লাখপতি মানিক

রংপুর: হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম। অর্থাভাবে খুব বেশি পড়া-লেখা করা হয়নি। যুবক বয়সে অর্ধশিক্ষিত বেকার হিসেবে অনেকের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন ছোট্ট একটা চাকুরির জন্য। ঘুরেছেন পথে পথে কাজের সন্ধানে। কোথাও কাজ মেলেনি তার। অবশেষে বন্ধুর পরামর্শে পরীক্ষামূলকভাবে স্টেশন এলাকার একটুকরো পরিত্যক্ত জমিতে শুরু করেন ফুলের চাষাবাদ। সেই ফুলকে ভালোবেসেই বদলে যেতে থাকে তার জীবন। 

জিরো থেকে আজ অনেকের চোখের হিরো হিসেবে পরিচিত সে। এখন গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স সবই হয়েছে তার। গ্রামে কয়েক বিঘা জমি কিনেছেন আর পৌর শহরে তৈরি করেছেন বাড়ি। এমন সফল হবার গল্পটি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ফুল চাষি মানিক মিয়ার। 

আটত্রিশ বছর বয়সী এই যুবক ফুলের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আজ তিনি লাখপতি। মানিকের বাড়ি বদরগঞ্জের পৌর শহরের বালুয়াভাটা মহল্লায়। শ্রম আর অদম্য ইচ্ছা শক্তিই তাকে সাহস যুগিয়েছে ফুল চাষে। ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোনো মানুষ সফলতার দ্বার প্রান্তে যেতে পারে বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন মানিক।

বর্তমানে ফুল চাষি বললে মানিককে অনেকেই চেনেন। ফুল চাষ করে স্টেশন এলাকায় গড়ে তুলেছেন সুন্দর পরিপাটি নিজস্ব ফুলের দোকান। যার নাম রেখেছেন ‘মানিক ফুলঘর’। এক সময়ের দরিদ্র বেকার এই যুবক এখন সফল ফুল চাষি। বদরগঞ্জ পৌর শহরের স্টেশন সংলগ্ন মানিক ফুলঘরে আলাপকালে এই কথাগুলো জানান সফল এই ফুল ব্যবসায়ী।

মানিক বলেন, একটা সময় কাজের জন্য সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি কিন্তু কোনো কাজ পাইনি। অর্থের অভাবের বেশি পড়ালেখা করা হয়নি। কীভাবে সংসার চলবে এ ভাবনায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম? পরে বন্ধুর পরামর্শে ফুল চাষ ও বাজারজাত করে এখন আমি আমি স্বাবলম্বী। আল্লাহর রহমত আর ফুলকে ভালোবেসেই আমার এই সমৃদ্ধি এসেছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত বেকাররা অহেতুক চাকরির পেছনে না ঘুরে যদি পছন্দমত কোন কাজকে বেছে নেয় তবে আমার বিশ্বাস তারাও সফল হবে। এখন ভাল লাগছে এই ভেবে যে, আমার দোকান ও ফুলের জমিতে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। পরিশ্রম ও ইচ্ছা শক্তিই মানুষকে সফলতার দ্বার প্রান্তে নিয়ে যেতে পারে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। 

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School

আরও পড়ুন